কাজিরবাজার ডেস্ক :
মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরাÑ রবীন্দ্রনাথের এই গানের বাণী আজ শাশ্বত। বাংলা নববর্ষের প্রথমদিন। গত বছরের গ্লানি মুছে জরা ঘুচে অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরাÑ এটাই প্রত্যাশা। শুভ নববর্ষ। বাংলা নববর্ষে মহামিলনের এ আনন্দ উৎসব থেকেই বাঙালি ধর্মান্ধ অপশক্তির কূট ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করার আর কুসংস্কার ও কূপমন্ডকতার বিরুদ্ধে লড়াই করার অনুপ্রেরণা নেবে এবং হবে ঐক্যবদ্ধ। নতুন বছর মানেই এক নতুন সম্ভাবনা, নতুন আশায় পথ চলা। বুকভরা তেমনি প্রত্যাশা নিয়ে নতুন উদ্যমে ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে জাতি। আজ ১৪২২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনে বদলে যাবে সিলেট নগরীর দৃশ্যপট। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলায় বর্ণবহুল হয়ে উঠবে নগরী। কাকডাকা ভোর থেকেই নগরীর পথে ঢল নামবে বাঙালি সংস্কৃতি লালনকারী আনন্দপিয়াসী নগরবাসীর। সবার পরনেই থাকবে বৈশাখী রং লাল-সাদার পাশাপাশি অন্যান্য রঙের বাহারি নকশার পোশাক।
নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো এবং রমনা ও ভ্রাম্যমান রেস্টুরেন্টে আজ থাকবে ইলিশ-পান্তার আয়োজন। বাসাবাড়িতে তৈরি হবে বাঙালি খাবারÑ ইলিশ মাছ ভাজা, শুঁটকি-বেগুন-ডাল-আলু-কালিজিরাসহ নানা পদের ভর্তা। আবার অনেকের ঘরে সর্ষে ইলিশও থাকবে।
বছরের প্রথম দিন নতুন স্বপ্ন, উদ্যম আর প্রত্যাশার আবির ছড়ানো বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় উৎসব পহেলা বৈশাখ। গ্রীষ্মের দাবদাহ এড়িয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠ-ঘাট, পথে-প্রান্তরে ঢল নামবে লাখো উচ্ছ্বসিত জনতার। দিবসটিকে কেন্দ্র করে নববর্ষকে স্বাগত এবং দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিশেষ বাণী দিয়েছেন।
বাংলা নববর্ষ উযাপন উপলক্ষে সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ আলোচনা সভা ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে আজ সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।