শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নসহ যাবতীয় সমস্যা আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে শিক্ষকদের উচ্চ ধাপে ১৩তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ শতভাগ পদোন্নতির সমাধান হচ্ছে। চলমান রয়েছে একটি সমন্বিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের কাজ। চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের স্থায়ীভাবে পদোন্নতির ব্যবস্থা। অনলাইনের মাধ্যমে বদলির যাবতীয় কাজ সম্পাদন। সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকে স্কুল খোলার ব্যবস্থা। বর্তমান বছরের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন। বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করন। শিক্ষকদের অনলাইনে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান। ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ে ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড রয়েছে চলমান। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের রিডিং পাড়া নিশ্চিত করণসহ প্রতি বিদ্যালয় থেকে দুই জন শিক্ষককে গণিত অলিম্পিয়াডে মাস্টার ট্রেইনার হিসাবে গড়ে তোলার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট (৪ টি নিবন্ধিত সংগঠন) এর উদ্যোগে শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি। বুধবার দিবাগত রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নসহ করোনাকালিন সময়ে পরীক্ষা না নিয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানদন্ড নিশ্চিত করণ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমতির সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ (এস ১২১৯৮/১৫) এর সভাপতি তপন মন্ডল। প্রতিপাদ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ এর সভাপতি শাহিনুর আল আমিন। জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহিনুর আক্তার এর পরিচালনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: গোলাম সারোয়ার, সহকারী শিক্ষক সমাজের সিনিয়র সহসভাপতি জে এম তাওহীদ হোসেন, সহকারি শিক্ষক সমাজ এর সাধারণ সম্পাদক আছাদ মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রুপ। সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমতির সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সহকারী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেড এবং দ্রুত বৈষম্য নিরসনের জোর দাবি জানান। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার চলমান সার্বিক কার্যক্রমের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেনের চাকরীর মেয়াদ আরো তিন বছর বৃদ্ধি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।