কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি পাস গেইটের দাবিকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান কর্তৃক আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে কটুক্তির ঘটনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কানাইঘাট উত্তর বাজারে আন্-নূর টাওয়ারের সামনে আমরা কানাইঘাটবাসীর ব্যানারে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কাউন্সিলর মাসুক উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ হাসান জীবানের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন, বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামীম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মুমিন, হেলাল আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা রেদোয়ান আহমদ মারুফ, শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন। প্রতিবাদ সভায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলাজ¦ হাফিজ আহমদ মজুমদার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে মূল গেইট ছাড়াও আরো একটি পাস গেইট নির্মাণের জন্য কয়েকদিন পূর্বে একটি ডিও লেটার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। এলাকার সবাই চান পাস গেইট হোক, কিন্তু নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান এমপির ডিও লেটার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মতামতকে উপেক্ষা করে যেই জায়গায় পাস গেইট করা হবে সেখানে জনসাধারণের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তড়িগড়ি করে বিপুল সংখ্যক পুলিশকে সাথে নিয়ে নির্মাণ শ্রমিক এনে পাস গেইটের স্থানে দেয়াল নির্মাণ করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এমপির ডিও লেটার ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের মতামত থাকার পরও পাস গেইটের জায়গার স্থানে দেয়াল নির্মাণে আপাতত বিরত থাকার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করলে তিনি আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে কটাক্ষ করে বিরূপপূর্ণ মন্তব্য করায় দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বলে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যে উল্লেখ করেন তারা। সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খানের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ চরম বিদ্বেষগার প্রকাশ করে বলেন, তিনি বিএনপি ও জামায়াতের লোক। আওয়ামীলীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে তিনি কানাইঘাটে নানা ধরনের কাজ করেছেন। পাথর কোয়ারীতে জনসাধারণের সম্পদ বিনষ্ট করেছেন, অনেক দুর্নীতি করেছেন। তাকে সদ্য কানাইঘাট থেকে অন্যত্র বদলী করায় আওয়ামীলীগের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি বিদ্বেষকারপূর্ণ মন্তব্য সহ নানা ধরনের কার্যকলাপ করে যাচ্ছেন। আগামী রবিবারের মধ্যে তাকে কানাইঘাট থেকে প্রত্যাহার করা না হলে প্রতিবাদ সভা থেকে ইউএনও’র কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে সভা থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। এছাড়া সভায় সংসদ সদস্য মজুমদারের প্রতি আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ আহ্বান করে বলেন, এলাকায় এসে হাসপাতালে পাসগেইট নির্মাণের ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে, জনসাধারণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে ভুয়া বিল-ভাউচার করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সহ এসব ঘটনার সাথে হাসপাতালের যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয় প্রতিবাদ সভায়।