বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
সারাদেশে লকডাউন খুলে দেয়ার পর থেকে এবং পর্যটন স্থানগুলোতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় তাহিরপুরে প্রতিদিনই পর্যটকের ঢল নামছে। সপ্তাহে বন্ধের দিন শুক্র ও শনিবারে তাহিরপুরে পর্যটকের সংখ্যা অন্যান্য দিনের চাইতে দ্বিগুণ তিনগুণ।
শুক্রবার সকালে তাহিরপুর সদর বাজার ও বৌলাই নদী ঘাটে দেখা ট্যুরিস্ট আর ট্যুরিস্ট। ভোর ৫ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোকজন আসছেন তাহিরপুরে হাওর ঘুরে দেখতে।
স্থানীয় বাজার ব্যবাসায়ী ও নৌকার মাঝিরা জানান, কমপক্ষে ১০ হাজার ট্যুরিস্ট এর সমাগম হবে হাওরে। শুধু তাহিরপুর দিয়ে নয় পাশর্^বর্তী মধ্যনগর উপজেলা দিয়ে প্রচুর লোকজন হাওরে আসেন।
টাঙ্গুয়া হাওর, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প, লাকমা ছড়া, লালঘাট ছড়া সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়।
নৌকায় করে খুব সহজে সবগুলো স্থান ঘুরে দেখা যায়। তাই অনেকেই পরিবার পরিজন সহ শিশু কিশোর সবাই কে নিয়ে হাওরে ঘুরতে আসেন।
চট্টগ্রাম থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে হাওর ঘুরতে এসছেন পর্যটক জহিরুল হক টুটুল। তিনি বলেন, তাহিরপুরে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যা ঘুরতে আসা লোকজনদের মুহিত করে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর নৌকার মাঝি রতনশ্রী গ্রামের শিবলি মিয়া বলেন, শুক্রবার ও শনিবারে নৌকা পাওয়া খুব কষ্ঠকর। অনেকেই পনেরও বিশ দিন আগে থেকে নৌকার বুকিং দিয়ে রাখেন।
শুক্রবার সকালে তাহিরপুর বাজার বৌলাই নদীর পারে গিয়ে দেখা যায় শত শত নৌকা। সবগুলোতে ট্যুরিস্টদের উপস্থিতি। সে সময় কথা কান্ট্রি ট্যুরিজম বাংলাদেশ এর সদস্য সাদেকুর রহমান বাবলুর সাথে। তিনি জানান, হাওরে এখন প্রচুর লোকজন আসে। এক সাথে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান থাকায় ট্যুরিস্টদের কাছে তাহিরপুর জনপ্রিয়।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান লিটন খন্দকার বলেন, আমি জন্মগত ভাবে ট্যাকেরঘাট বড় হয়েছি। এখনো এখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করছি। কোনদিন ভাবিও নি তাহিরপুর ঘুরে দেখতে এত পর্যটকের সমাগম হবে।