দোয়ারাবাজারে একাদশ শ্রেণীতে অতিরিক্ত ভর্তি ফি ফেরত দিতে নির্দেশ

12

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কে অননুমোদিতভাবে একাদশ শ্রেণীতে বর্ধিত ভর্তি ফিস ফরম পূরণে গ্রহণ করায় অতিরিক্ত ফি ৭ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা। দোয়ারাবাজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার-নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিয়ে সভা করেন। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলার সকল কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন এবং যে সকল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে অধ্যক্ষদের নির্দেশ প্রধান করেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তির টাকা শিক্ষার্থীদের হাতে ফেরত দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে তা অবহিত করতে হবে।
জানা যায় এবারের করোনা মহামারী ও পরপর তিন বারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরব অভাবের সময় কলেজে ভর্তির জন্য ভর্তি টাকা গুণতে হচ্ছে প্রত্যেক এলাকার শিক্ষার্থীদের। বোর্ড নির্ধারিত উপজেলা পর্য়ায়ে সর্ব সার্কুল্য ১ হাজার টাকা নেয়ার জন্য নির্দেশ থাকলেও তা মানছে না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ। একেক কলেজে একেক নিয়মে ভর্তির টাকা আদায় করা হচ্ছে। দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রী কলেজ নেয়া হচ্ছে ফরমে ২শত টাকা সহ ২২ শত টাকা, সমুজ আলী স্কুল ও কলেজে নেয়া হচ্ছে ফরমের ১ শতটাকা সহ ২৬ শত টাকা, লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজে ফরমের ১শত টাকা সহ ৩১ শত টাকা, বড়খাল স্কুল ও কলেজে নেয়া হচ্ছে ফরমের ১ শত টাকা সহ ২৬ শত টাকা, ঘিলাচড়া স্কুল ও কলেজে নেয়া হচ্ছে ফরমের ১ শত টাকা সহ ২৫ শত টাকা, বোগলা রোসমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজে নেয়া হচ্ছে ফরমের ১ শত টাকা সহ ৩৬ শত টাকা, সবচাইতে কম ভর্তি ফি নেয়া হচ্ছে প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ফরমের টাকা সহ ১ হাজার টাকা।
জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বোগলা রোসমত আলী-রামসুন্দর স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ফি বোর্ড নির্ধারিত ফির চাইতে তিনগুণ বেশী নেয়া হয়েছে। ভর্তি ফি ও কলেজের উন্নয়ন সহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয় ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও ফরম বাবদ ১০০ টাকা। মোট টাকা নেয়া হয় ৩৬ শত টাকা। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে ১১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে কথা বলে ভর্তি ফি সহ সর্বসাকুল্য ২ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, ‘ভর্তি ফি উন্নয়ন ফিসহ সর্বসাকুল্য ২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা আগের নির্ধারিত ফি দিয়ে ভর্তি হয়েছে তাদের অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে অধ্যক্ষকে বলা হয়েছে।