ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরের কুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রাখি রাণী দাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আদেশ অমান্যের অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ২৯ জানুয়ারী সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মোঃ ওবায়দুল্লাহ স্বাক্ষরিত-১৯৩৭৯ (৫) নং স্মারকমূলে ওই শিক্ষিকাকে উপজেলার হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে বদলীর আদেশ দেন। কিন্তু আদেশ জারির প্রায় এক মাসের মধ্যেও তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
জানা যায়, উপজেলার উমরপুর ইউপির হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২শত শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ৪ জনের মধ্যে একজন সহকারি শিক্ষিকা বিপিএড প্রশিক্ষণে রয়েছেন। এতে ওই স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে উপজেলার কুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সহকারি শিক্ষিকা রাখি রানী দাসকে হামতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছরের জন্য ডেপুটেশনে বদলীর আদেশ দেয়া হলেও তিনি আদেশ অমান্য করে পূর্বের কর্মস্থলে বহাল রয়েছেন।
শিক্ষিক রাখি রানী দাস বলেন, বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমি নতুন কর্মস্থলে যেতে পারছি না। এ বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
হামতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহ আহমদ বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকায় একজন শিক্ষককে ডেপুটেশনে ১ বছরের জন্য দেওয়া হলেও তিনি অদ্যবদি যোগদান করেনি। বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকিব ভূইয়া বলেন,বিষয়টি আমি আবগত আছি এবং শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।