সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : বানিয়াচংয়ে পুলিশ কর্মকর্তা সবুজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিরীহ পরিবার

3

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ পুলিশের তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত সহকারী কমিশনার নিউটন দাশ সবুজের অত্যাচারে একটি পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দলীয় ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে নানাভাবে নির্যাতন করছেন নিউটন দাস সবুজ। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার কাগাপাশ ইউনিয়নের সেকান্দরপুর গ্রামের আকল দাশের পুত্র রাজীব দাশ। তিনি অভিযোগ করেন নিউটনের নির্যাতনে তার চাচাতো ভাই পরিতোষ দাশের পরিবার এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজীব দাশ বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০০৪ সালের ১৪ মে নিউটন দাশ সবুজ গংদের সাথে আমাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আমাদের পক্ষের মহিলাসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। বেশ কিছুদিন তারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। এ ঘটনায় আমার চাচাতো ভাই পরিতোষ দাশ বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-জিআর ২৬৫/০৪। মামলটি ২০১২ সালে যখন বিচারাধীন অবস্থায় তখন মামলার ১৫ নম্বর আসামি নিউটন দাস সবুজ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এটি রাজনৈতিক মামলা দেখিয়ে হবিগঞ্জ কোর্টের তৎকালীন পিপির মাধ্যমে বাতিল করিয়ে নেয়। কারণ সবুজ তখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেন্টারের সিলেট বিভাগের দায়িত্বে ছিল। কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায় রাজনীতির সর্বোচ্চ ক্ষমতা সে তখন প্রয়োগ করেছে। এক পর্যায়ে আমরা মামলা বাতিলের বিপক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করি। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানী চলছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে নিউটন দাস সবুজ আমাদের ওপর অত্যাচারের স্টীম রুলার চালিয়েছে। ২০১৬ সালে ৩৫ তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে চাকরি হওয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। কথায় কথায় আমাদের উপর নির্যাতন চালায়। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমার আরেক চাচাতো ভাই দীর্ঘদিন পর ইতালি থেকে দেশে এসেও শান্তিতে বাড়িতে বসবাস করতে পারেননি। সে বারবার পুলিশ পাঠিয়ে আমাদেরকে হুমকি দিয়েছে। তার লোকজন দিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। কোন জায়গায় অভিযোগ নিয়ে গেলে কেউ আমাদেরকে পাত্তা দেয়নি। নিউটন দাস সবুজের ভয়ে কেউ আমাদেরকে সহযোগিতা করতে আসেনি। একেতো দলীয় প্রভাব, অন্যদিকে পুলিশের বড় কর্মকর্তা হওয়ায় নিউটন আমাদেরকে সবসময় নির্যাতন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে রাজীব দাশ এই দুর্নীতিবাজ, আওয়ামী শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডার নিউটন দাস সবুজের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।