বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখা পল্ল¬ীবিদ্যুৎ সমিতির ভুতুড়ে বিলে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বিল কপিতে ব্যবহৃত ইউনিটের কলাম শূন্য থাকলেও পরিশোধের কলামে বিরাট অঙ্কের টাকা বসিয়ে বিল সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিকার চাইতে গিয়ে হয়রানীর শিকার হন বলেও কিছু গ্রাহক অভিযোগ করেন। গত অক্টোবরে সোনাপুর গ্রামের জনৈক বিদ্যুৎ গ্রাহক জমি বিক্রি করে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ভুতুড়ে বিল পরিশোধ করে রেহাই পেয়েছেন।
জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের হালগরা গ্রামের আব্দুন নুর ২০০৩ সালে বসত বাড়িতে একটি আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ (হিসাব নং-৮৪২/৩২০০) নেন। গত বছরের বিভিন্ন মাসে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে বিদ্যুৎ বিল আসতো। নভেম্বর মাসে হঠাৎ ১১৯৫ টাকার মতো বিল দেয়া হলে তিনি বিল কপি খতিয়ে দেখেন ব্যবহৃত ইউনিটের কলামে শূন্য লিখা। মিটারে অতিরিক্ত বিল আসায় গত ১৬ নভেম্বর বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম বরাবরে তিনি লিখিত আবেদন করেন। গত ২০ ডিসেম্বর ডিজিএম অফিস থেকে মিটারটি সঠিক বলে গ্রাহককে জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ডিসেম্বর মাসের বিলে আবারও শূন্য ইউনিট দেখিয়ে ৩৫৭ টাকার বিল সরবরাহ করা হয়। জানুয়ারী মাসের বিলে ব্যবহৃত ইউনিট মাত্র ১১০ দেখিয়ে ৩৫,৯১৪ টাকার বিল প্রদান করলে হতভম্ব গ্রাহকের চোখে সরষে ফুল দেখার অবস্থা দাঁড়ায়।
বিদ্যুৎ গ্রাহক আব্দুন নুরের ছোটভাই হাজী আব্দুল গফুর জানান, পল্ল¬ীবিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে তার ভাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। গত ১০ জানুয়ারী এসব দুশ্চিন্তা নিয়েই তিনি মারা গেছেন। তার এলাকায় এভাবে অনেক গ্রাহককে ভুতুড়ে বিল দেয়া হচ্ছে। প্রতিকার চাইতে গিয়ে নানা হয়রানীর কারণে অনেকেই ভুতুড়ে বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হন। ভাই মারা যাওয়ায় এখন ভুতুড়ে বিলের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভাইয়ের হয়ে তিনি বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়ঝাপ দিচ্ছেন।
বড়লেখা পল্ল¬ী বিদ্যুতের ডিজিএম সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, ওই গ্রাহকের মিটারটি একাধিকবার দেখা হয়েছে। হয়ত কোন সমস্যা রয়েছে। আবারও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হবে।