কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে গত শুকনো মৌসুমে উত্তোলনকৃত বর্তমানে কোয়ারী এলাকায় মজুদ করে রাখা লক্ষ লক্ষ ঘনফুট পাথর কোয়ারীর সাবেক ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশের কাছ থেকে রশিদমূলে কিনে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন পাথর ব্যবসায়ী। কোয়ারীর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কোয়ারীতে ব্যবসায়ীদের বৈধ রশিদ মূলে ক্রয়কৃত লক্ষ লক্ষ ঘনফুট পাথর সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবৈধ আখ্যায়িত করে নিলামে বিক্রি করায় কোটি কোটি টাকার লোকসানে পড়ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাথর ব্যবসায়ীরা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও তাদের পাথর সিজ ও নিলামে বিক্রি করায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। এতে করে সমস্ত পুঁজি হারিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পাথর কিনে সর্বশান্ত হওয়ার উপক্রম হচ্ছে তাদের। এদিকে সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ হাফিজ আহমদ মজুমদার গত শুকনো মৌসুমে কোয়ারী থেকে উত্তোলনকৃত পাথর নিলামে বিক্রি করে পাথর ব্যবসায়ীদের ক্ষতি না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সাংসদ মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কোয়ারী থেকে বৈধ ভাবে সাবেক ইজারাদারের কাছ থেকে পাথর ক্রয় করেছেন। সেই পাথর কিভাবে অবৈধ আখ্যায়িত করে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তারা নিলেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। এ নিয়ে আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছি, যাতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন না হন। পাথর ব্যবসায়ীরা বৈধভাবে পাথর ক্রয় করেছেন। ইজারার মেয়াদকালীন সময়ে তারা তাদের পাথর নৌপথে বিক্রি করতে পারেন নি। যখন তারা পাথর বিক্রি শুরু করেছেন তখন তাদের পাথর অবৈধ আখ্যায়িত করে নিলামে তোলা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি শীঘ্রই বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে কথা বলবেন, যাতে করে কোয়ারী এলাকায় মজুদকৃত পাথর ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারেন। কোয়ারী এলাকায় পরিবেশ সুরক্ষিত থাকুক এটা আমিও চাই কিন্তু, শত শত ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাথর ব্যবসায়ীরা যারা তাদের সমস্ত টাকা বিনিয়োগ করে পাথর ক্রয় করেছেন সেই পাথর এখন জব্দ ও নিলামে বিক্রি করা হলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে তিনি জানান।