ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক চলাকালে সাবেক ইউপি সদস্যের লোকজনের হামলায় বৃদ্ধ আবদুল্লা সঞ্জব (৬০) নির্মম খুনের স্বীকার হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের হরিশ্যাম গ্রামে এ খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে বাদ মাগরিব নিহতের দাফন সম্পন্নের পর পারিবারিক কবরস্থানে কবর দেয়া হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য হরিশ্যাম গ্রামের আহমদ আলীর জমিতে দিন মজুর হিসাবে ধান রোপণ করতে যান গ্রামের আবদ্দুল্লাহ সঞ্জবের ছোট ভাই ফয়জুউল্লাহ সহ কয়েকজন। কিন্তু জমিটি রোপনের অনুপযোগী থাকায় ফয়জুউল্লাহসহ সাথে থাকা লোকজন ধান রোপণে অনীহা প্রকাশ করেন। এসময় আহমদ মেম্বার ফয়জুল্লাউল্লাসহ দিনমজুর লোকদের জমিতে ধান রোপণ করতে চাপ প্রয়োগ করলে বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিকন্ডতার ঘটনা ঘঠে। এ বাকবিকন্ডতার বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে বুধবার রাতে গ্রামের নুর মিয়ার বাড়িতে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। সালিশ চলাকালিন সময়ে আহমদ মেম্বারের লোকজনের সাথে ফয়জুউল্লাহ ও তাঁর ভাই আবদুল্লাহ সঞ্জবের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আহমদ আলী ও তাঁর লোকজন উত্তেজিত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আবদ্দুল্লাহ সঞ্জবকে এলোপাতারী আঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাতিজা জায়েদ আলম বলেন, সাবেক মেম্বার আহমদ আলী ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়েই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে শান্ত শালিস বৈঠকে লোকজন অশাান্ত করে তুলেছিল। তাদের এই উত্তেজিত কমকান্ড দেখে সালিশ ব্যক্তিত্বরা বার বার শান্ত থাকার কথা বললে তারা তা মানেনি। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে আমার বৃদ্ধ চাচাকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে খুন করে। নির্মম এই হত্যাকান্ডের ঘাতকদের গ্রেফতারের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান খুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের ময়না তদন্তের পর নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
