আইডিয়াকে বিশিষ্টজনের অভিমত ॥ এবারের বাজেট হতে হবে বিশেষ ধরণের

12

গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন-ডিবিএম নানা কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতি বছর জাতীয় বাজেট পেশ করার আগেই জনবাজেট পেশ করে থাকে। যাতে জাতীয় বাজেটে কি গুরুত্ব পাওয়া উচিত তার মতামত থাকে। বর্তমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আইডিয়া ডিবিএম এর সদস্য হিসেবে ভার্চুয়ালি ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সমাজের সচেতন নাগরিক, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছ থেকে বাজেট সম্পর্কে মতামত সংগ্রহ করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে অধিকাংশ অভিজ্ঞজনের মতামত হচ্ছে “এবারের বাজেটে হতে হবে বিশেষ ধরণের বাজেট”।
আলোচনার মাধ্যমে যে সকল সুপারিশ সমূহ আসে: হাওর এলাকা বেশি হুমকির মুখে থাকে তাই দুর্যোগ যাতে এই বছর না হয় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না তা কতটুকু যথেষ্ট, নদী খনন, কম মূল্যে বীজ সরবরাহ, কিটনাশক প্রদান ইত্যাদি অনুদান সঠিক সময়ে কৃষকের কাছে পৌছানো ব্যবস্থা করতে হবে। হাওরের কৃষকদের নিকট হতে ন্যায্য মূল্যে বোরো ধান ক্রয় করতে হবে। কৃষি পণ্য সংরক্ষণে জন্য সরকারের উদ্যোগে গোদামজাত করতে হবে। অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আনার জন্য যথেষ্ট বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার নাজুকতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বাজেটে সবার জন্য মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বরাদ্দ রাখতে হবে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন জোরদার করা। ওষুধ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালার বাস্তবায়ন করতে হবে। ব্যাংকিংখাতে অনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বড় বড় ঋণ প্রদান বন্ধ করতে হবে। যে প্রকল্প কম গুরুত্বপূর্ণ তা কমিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি বৃদ্ধি করা দরকার। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হতে হবে। সরকারের অনুন্নত ব্যয় আছে তা ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা। সিলেটের রেল ও সড়ক পথ সংস্কারে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ঢাকা সিলেট হাইওয়ে ৮ লেন এ উন্নীত করতে হবে। নদী খনন এবং হাওরে মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন করতে হবে। এই লক্ষ্যে বাজেট বাড়াতে হবে নদী খনন, মিঠা পানিতে মৎস চাষ, মৎস হেচারী, হাওর গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, হাওর এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। বিদ্যালয় জাতীয়করণে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। শিক্ষাখাতকে সব সময়ের মত গুরুত্ব দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংরক্ষণে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সিলেটে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে যার বরাদ্দ থাকতে হবে বাজেটে। গণতান্ত্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে। সিলেটে চা শ্রমিকদের খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। সিলেট থেকে প্রচুর অদক্ষ শ্রমিক প্রবাসে যান সেই সব অদক্ষ শ্রমিকদের তৈরীর লক্ষ্যে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। বর্তমানে কোভিড-১৯ এর কারণে প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়েছে। তাই এবারের বাজেট হতে হবে মানুষকে কাজে যুক্ত করার বাজেট। যাতে অর্থনীতি স¦াভাবিক ভাবে নিজের রূপে ফিরে আসে। কাজের ক্ষেত্র তৈরী, বেকার ভাতা নিশ্চিত করতে হবে ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে।
ভার্চুয়াল এই মতমত প্রদানে অংশগ্রহণ করেছেন ডিবিএম সিলেট জেলা কমিটির সদস্য সহ সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্র- ছাত্রী, সমাজের সুধীজনরা। এই মতামত সমূহ গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন-ডিবিএম এর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে। এই মতামত সমূহ পরারাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি আকারে প্রদান হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি