সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৪ কৃষকের মৃত্যু

20

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ জেলায় শনিবারের বজ্রপাতে ৪ উপজেলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সে সাথে মারা গেছে ৪টি গরু। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় হাওরে কাজ করার সময় জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে বজ্রপাতে কৃষক শিপন মিয়া (২৪) মারা যান। নিহত শিপন মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরন গ্রামের বাসিন্দা। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তার একটি গরুও মারা যায়। জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একই সময়ে দিরাই উপজেলার উদগল হাওরে বজ্রপাতে ধান কাটা শ্রমিক তাপস মিয়া (৩৪) মারা গেছেন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার আমজিমিরিগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের জলসুখা গ্রামের মফিজ আলী ছেলে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার উদগল হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এসময় একটি গরুও মারা যায়। দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম ও সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার গাজীরখাল নামক হাওরে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ফরিদ আহমদ (৪৫) মারা যান। ঐ সময় তার ২টি গরুও নিহত হয়। তিনি উত্তর গাজীনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে। পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শাষখাই বাজারে যাবার পথে বজ্রপাতে শঙ্কর সরকার (২৬) নামের আরেক য্বুক মারা যান। তিনি নারায়ণপুর গ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের ছেলে। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম বলেন, বজ্রপাতের ব্যাপারে পূর্ব থেকেই জেলার কৃষকদেরকে সতর্ক করা হয়। তারপরও বোরো ফসল তোলার জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে কৃষকরা মাঠে কাজ করে থাকেন। শনিবার বৈরী আবহাওয়ায় জেলায় গরুসহ ৪ কৃষকের মৃত্যু অত্যন্ত দু:খজনক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বজ্রপাতে নিহতদের জন্য সুগভীর শোক প্রকাশ ও তাদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন,বর্তমানে ধান কাটার মৌসুম পুরোদমে চলমান থাকায় এবং আবহাওয়ার পূর্ভাবাস অনুযায়ী বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় হাওরে অবস্থানকারী সকলকে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের আশংকা দেখা দিলে অতি দ্রুত নিকটস্থ বিদ্যালয় ভবন, ব্রিজ কালভার্টের নীচে অথবা নিরাপদ স্থাপনার নীচে আশ্রয় নেয়ার অথবা তাৎক্ষণিক কোনকিছু না পেলে মাটিতে শুয়ে পড়ার অনুরোধ জানান তিনি।