কাজিরবাজার ডেস্ক :
গত মেয়াদে পূর্ণ মন্ত্রী ছিল, এমন নয়টি মন্ত্রণালয়ে এবার দেওয়া হয়েছে একজন করে প্রতিমন্ত্রী। এসব মন্ত্রণালয়ে পরে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হচ্ছে না যেসব মন্ত্রণালয়ে তার মধ্যে রয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন নুরুল ইসলাম। নতুন মন্ত্রী সভায় এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিলেট-৪ আসনের সাংসদ ইমরান আহমদ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বাদ পড়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নেত্রকোণা-২ আসনের সাংসদ আশরাফ আলী খান খসরু।
বিগত মন্ত্রিসভায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন একেএম শাহজাহান কামাল। আর নতুন মন্ত্রিসভায় এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন মাহবুব আলী। তিনি হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ।
মতিউর রহমান বিগত মন্ত্রী সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে নতুন পূর্ণ মন্ত্রী পায়নি এই মন্ত্রণালয়। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে গত সরকারে মন্ত্রী ছিলেন শাহজাহান খান। তাকে এবার নতুন মন্ত্রিসভায় রাখা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন।
গত মন্ত্রী সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাকে নতুন মন্ত্রিসভায় রাখা হচ্ছে না। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাকির হোসেনকে।
গত মন্ত্রী সভায় ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রী ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তবে এবার পূর্ণ মন্ত্রী পায়নি এই মন্ত্রণালয়। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ডা. এনামুর রহমান।
গত মন্ত্রী সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমকে এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গত মন্ত্রী সভায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। নতুন মন্ত্রিসভায় এই দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন ময়মনসিংহ-৫ আসনের সাংসদ কে এম খালিদ বাবু।
রবিবার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নাম ঘোষণার সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতদিন মন্ত্রী দেওয়া না হবে, ততদিন মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্ব প্রতিমন্ত্রীদের হাতেই থাকবে। আর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
কোনো মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী না থাকলে সেটি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বেই থাকে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা তার হাতে যে ছয়টি দপ্তর রেখেছেন, তার বাইরেও এই মন্ত্রণালয়গুলোও দেখভাল করবেন শেখ হাসিনা।