সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ ১ লক্ষ ১ হাজার ৭শত ৭০টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা। জেলার ভিজিডি কার্ডধারী ২৩৬১৫ জন এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগী ৯১,৯৫০ জন কে বাদ দিয়ে দিনমজুর, শ্রমিক, ক্ষুদ্র দোকানদার, প্রতিবন্ধী পরিবার, ভিক্ষুক, কর্মহীন বেকার, পরিবহন শ্রমিক, রিক্সা শ্রমিক, ভ্যান চালক, ফেরীওয়ালা, বেদে, হিজড়া ও হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্য, কৃষি শ্রমিক ও মৎস্যজীবী পরিবারের মধ্যে পর পর তৃতীয় দফায় এই সহায়তা প্রদান করা হয়।
৩য় পর্যায়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়, ১৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪২ টাকা ও ৪৫৩ মে: টন চাল। উক্ত বরাদ্দ দ্বারা জেলার ১১টি উপজেলার ৮৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার ৩৬টি ওয়ার্ডের ৪৫ হাজার ৩০০ টি পরিবারকে ১০ কেজি হারে চাল ও ২ কেজি করে আলু খাদ্য সহায়তা বাবত প্রদান করা হয়।
২য় দফায় ৮৮টি ইউনিয়নের ৩৯,৬০০ পরিবার এবং ৪টি পৌরসভার ৪০০০টি পরিবারের বিপরীতে বরাদ্দ প্রদান করা হয় ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ৪৩৬ মে:টন চাল। বরাদ্দ দেয়া এ চাল ও টাকায় জনপ্রতি ১০ কেজি চাল ও ২ কেজি হারে আলু প্রদান করা হয় জেলার মোট ৪৩,৬০০টি পরিবারকে।
প্রথম দফায় প্রাপ্ত ১৩০ মে: টন চাল ও ১০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায়,১০ কেজি চাল,১ কেজি ডাল ও ২ কেজি করে আলু বিতরন করা হয় ১২ হাজার ৮শত ৭০টি পরিবারের মাঝে।
জেলা প্রশাসকের ফেইসবুক পেইজের উদ্ধৃত্তি দিয়ে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ মানিক মিয়া।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা বলেন,১৮ এপ্রিল পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী বিতরন করা হয়ে গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে যেসব জায়গায় খাদ্য সহায়তা বিতরন করা সম্ভব হয়নি সেসব এলাকায় ১৯ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত উক্ত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রাহুল চন্দ বলেন, আমরা সরকারের কাছে আরো ২০ লক্ষ টাকা এবং ১ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দের চাহিদাপত্র প্রেরণ করেছি। তিনি বলেন, এসব খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি শিশু খাদ্যখাতেও সরকারের চলমান বরাদ্দ উপকারভোগীদের মধ্যে বন্টন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খাদ্য সহায়তার প্যাকেট প্রদানকালে বলেন,বোরো ফসল ঘরে উঠার পূর্ব পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলার জন্য বরাদ্দের পরিমান আরো বাড়ানোর জন্য আমরা দফায় দফায় প্রস্তাব প্রেরণ করেছি।