শিপন আহমদ ওমানীনগর থেকে :
সিনেমায় কাজের সুযোগ করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওসমানীনগরে ধর্ষণ মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী লন্ডন প্রবাসী সাহেদ আহমদ (৩৮)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর একটি টিম। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নেরে ইজলশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক লন্ডন প্রবাসী সাহেদ আহমদ (৩৮) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত প্রবাসী ইজলশাহ গ্রামের সুন্দর আলীর পুত্র। গ্রেফতারের পর শনিবার দিবাগত রাতে র্যাব সদস্যরা ধর্ষক সাহেদকে ওসমানীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃতকে গতকাল রবিবার আদালতে প্রেরণ করেছে। ২০১৭ সালের ঢাকার মগবাজার এলাকার এক সুনিয়া নামের এক তরুণী (২২) বাদি হয়ে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে লন্ডন প্রবাসী সাহেদ আহমদসহ একই এলাকার আরো দুইজনের নামসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামালা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে সিনেমা নির্মাতা পরিচয়ে ওই তুরণীকে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্কে স্থাপন করেন প্রবাসী সাহেদ আহমদ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সিনেমার পরিচালকের সাথে দেখার করার কথা বলে ওই তরুণীকে আসতে বলেন। সুটিং এর কথা বলে ১৯ ডিসেম্বর শাহেদ তরুণীর মগবাজারস্থ বাসা থেকে একটি বিলাশ বহুল হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তার সহযোগীরা আগে থেকেই ওৎপেতে ছিলো। হোটেলে সিনেমার পরিচালক আসবেন এমন আশ্বাসে সাহেদ তরুণীকে অপেক্ষা করেতে বলে এবং বাইরে থেকে কিছু খাবার এবং কোমল পানীয় নিয়ে আসে। কোমল পানীয় পান করার পর তরুণী অজ্ঞান হয়ে পরেন। জ্ঞান ফিরার পর তরুণী দেখতে পান ওই রুমে সাহেদ বসা। এবং তার শরীরে কোন বস্ত্র নেই। এমন অবস্থায় সাহেদ তরুণীর কাছে তাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। এবং তার সহযোগীরা সেই ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করেন এবং সেটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। সাহেদের সহযোগীরা ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবার হুমকি দিয়ে তরুণীর কাছে থেকে বিভিন্ন সময় ৩ লক্ষ টাকা আদায় করে। অবশেষে এই ঘটনার জন্য ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ওই তরুণী রমনা থানায় মামলা করতে যান কিন্তু সেখানে মামলা দায়ের করতে না পেরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -৩ আদালতে ওই তরুণী একই বছরের আগষ্ট মাসে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে লন্ডন প্রবাসী সাহেদ আহমদ পলাতক ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে র্যাব-৯ একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে সাহেদকে গ্রেফতার করে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদ মোবারক র্যাবের অভিযানে সাহেদ গ্রেফতার হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত সাহেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাজারি ছিল।