তাহিরপুরে ঋণের টাকা নিয়ে উধাও টিএমএসএস মাঠকর্মী

76

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
নতুন ঋণ গ্রহিতা ও কিস্তি জমাদানকারীদের ৩ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও তাহিরপুরের এক এনজিও মাঠকর্মী। মাঠকর্মীর নাম রুবেল আহমেদ সে টিএমএসএস তাহিরপুর শাখায় কর্মরত অবস্থায় তাহিরপুর সদর, বালিজুরী ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নে ঋণ প্রদান ও ঋণ আদায় এর দায়িত্ব পালন করে আসছিল। সম্প্রতি মাসাধিককাল পূর্বে সে হঠাৎ করে ছুটি নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি নাটোর চলে যায়। যাওয়ার পর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয় রুবেল আহমেদ। মাঠকর্মী রুবেল আহমেদের ফোন বন্ধ থাকায় নতুন ঋণ গ্রহিতারা টিএমএসএস অফিসের এসে তার ঋণের খোঁজ খবর নিলে জানতে পায় রুবেল আহেমেদ পালিয়ে গেছেন।
বর্তমানে নতৃন ঋণ গ্রহিতারা প্রতিদিনই টিএমএসএস তাহিরপুর অফিসে এসে তাদের কাছ থেকে ঋণের কথা বলে নিয়ে যাওয়া টাকা ফেরৎ চাইছেন। কিন্তু এখানকার অফিসের লোকজন এ বিষয়ে তাদের কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছেন ঋণের জন্য টাকা প্রদানকারী ব্যক্তিরা।
চিকসা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য শফিক আহমেদ জানান, রুবেল আহমেদ দেড়মাস পূর্বে নতুন ঋণ ১ লক্ষ টাকা দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে নেয়। বর্তমানে নতুন ঋণ দূরের কথা তিনি তার আসল টাকাই ফেরৎ পাচ্চেছন না।
একই অবস্থার কথা জানালে আনোয়রপুর গ্রমের এহিয়া তালুকদার তিনিও জানান, তার কাছ থেকে রুবেল আহমেদ ১০ হাজার নিয়েছেন নতুন ঋণের জামানতের জন্য।
কাউকান্দি গ্রামের আনোয়ার হোসন জানান, নতুন ঋণ পাবার আশায় তিনি ঋণ করে ১০ হাজার টাকা এনে দিয়েছেন রুবেলের কাছে।
তাছাড়া মধ্য তাহিরপুর গ্রামের কিংকর রায়, আজহার এর নিকট থেকে রুবেল আহেমদে টাকা নিয়েছে বলে তারা জানান। অপরদিকে অনেক পুরনো ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা উত্তোলন করে এনে তাদের নামে জমা দেন নি বলেও একাধিক কিস্ত প্রদানকারীরা জানান।
এ বিষয়ে জানতে কথা হয় টিএমএসএস তাহিরপুর শাখা ম্যানেজার আরিফুর রহমান এর সাথে। তিনি রুবেল আহেমেদ বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে থেকে লাখ তিন এক টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি এখানে নতুন এসেছেন, ঊর্ধ্বততন কর্তপক্ষ ছাড়া এ বিষয়ে তিনি কিছুই করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে মাঠকর্মী রুবেল আহেমেদ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল (০১৭৬৩৩৮৩৯২৮) বন্ধ থাকায় কোনভাবেই যোগাযোগ সম্ভব হয় নি।