বাড়ছে করোনা আতঙ্ক, বিমানবন্দরে স্ক্রীনিং জোরদার

18

কাজিরবাজার ডেস্ক :
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও আতঙ্ক বাড়ছে। সরকারের প্রস্তুতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে সচেতনতা। বিভিন্ন অভিযোগের পর বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে স্ক্রীনিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। অবিলম্বে চীনের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করার জোর দাবি উঠেছে। সতর্ক নাগরিকদের বিপুল চাহিদার কারণে বাজারে দেখা দিয়েছে মাস্ক সঙ্কট। যাও কিছু পাওয়া যাচ্ছে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া নানারকম তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত গত ১৭ দিনে চীন থেকে ফিরেছে ৭ হাজার ৩৩১ জন। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত আইইডিসিআর ল্যাবরেটরিতে ৪৪ চীনফেরত যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা হলেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন যাত্রী পাওয়া যায়নি। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নানা সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের চলমান মেগা প্রকল্পগুলোতেও এর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা ও উন্নয়নসহযোগী দেশ চীন। বিপুলসংখ্যক লোক প্রতিদিন দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করছেন। আমদানি- রফতানি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পণ্য। আরও ১৭২ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চীন থেকে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের কাছে ইচাং শহরে অবস্থান করছেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাতে কাটাতে ঘরে খাবার, বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে পড়েছেন তারা।
এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯২। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনাই ভাইরাসটির উৎসস্থল উহান এবং এর আশপাশে। চীনের মূল ভূখ-জুড়ে আরও ৩৮৮৭ জন নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৪ হাজার ৩২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ভাইরাসটিতে চীনের মূলভূখ-ের বাইরে এ পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। হংকংয়ের ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি উহান শহরে ঘুরতে গিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন। নিজ শহরে ফেরার পর মঙ্গলবার তিনি মারা যান। গত সপ্তাহে উহান থেকে ফিলিপিন্সে যাওয়া এক চীনা ব্যক্তির মৃত্যু হয়। চীনের বাইরে মৃত্যুর প্রথম ঘটনা এটি। জাপানে একটি প্রমোদ জাহাজে ১০ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। হংকংয়ের প্রথম মৃত্যুর ঘটনার পর সেখানে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে দুটি মার্কিন এয়ারলাইন্স। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের আরও ২৪ দেশ ও অঞ্চলে ১৭৬ জনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে।
বর্তমানে প্রতিদিন চারটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে চীনের বিভিন্ন শহরে সরাসরি যাতায়াত করছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ইউএস বাংলা, চীনের চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউথার্ন এবং ড্রাগন এয়ার। এছাড়া অন্যান্য দেশ হয়ে অনেক যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করছে। চীনের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইটে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা বলছেন, চীন থেকে আগত যাত্রীদের প্রথমেই তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যদিও স্ক্রীনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার পরও করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশে প্রবেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিশ্বের অনেক দেশ চীনের সঙ্গে তাদের সকল ফ্লাইট স্থগিত করেছে। বাংলাদেশ সরকারকেও দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে বিপুল যোগাযোগের বিষয়ও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর ওষুধের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, যেসব প্রচলিত মাস্ক পাওয়া যেত তা বাজার থেকে উধাও। কিছু মাস্ক বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। ব্যবসায়ীরা জানান, কোথাও মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু পাওয়া গেলে তাদের কিনতে হচ্ছে অনেক বেশি দাম দিয়ে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তারা কিছু মাস্ক রাখলেও তা বিক্রি করতে হচ্ছে অনেক বেশি দামে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মাস্ক মূলত চীন থেকেই আমদানি করা হয়। খোদ চীনেই এখন মাস্কের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে যে মাস্ক মজুদ রয়েছে তা থেকে চীনে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে চীনের ব্যবসায়ীরা। বেশ কিছু মাস্ক ইতোমধ্যে ফেরতও পাঠানো হয়েছে। মূলত এ কারণেই মাস্কের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। তবে দেশে তৈরি মাস্ক দিয়ে এই চাহিদা পূরণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে সমস্যা হতে পারে : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পদ্মা সেতু প্রকল্পের যেসব চীনা কর্মী দেশে গেছেন, তাদের ছুটি প্রলম্বিত হলে প্রকল্পের অগ্রগতিতে সমস্যা হতে পারেÑ মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তবে উড়াল সড়ক, বাস, র‌্যাপিড ট্রানজিট ও মেট্রোরেল প্রকল্পে চীনা নাগরিকরা কর্মরত এবং করোনা ভাইরাস এসব প্রকল্পের অগ্রগতিতে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার সচিবালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নাগরিক সেবা প্রদান বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। পদ্মা সেতু প্রকল্পে চীনা নাগরিকদের পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে ৯৮০ চীনা নাগরিক কর্মরত। এর মধ্য থেকে বাইরে (ছুটিতে) আছে ৩৩২। ইতোমধ্যে ছুটি থেকে ফিরে এসেছেন ৩৩ জন। এদের মধ্যে আটজন কোয়ারেন্টাইনমুক্ত, বাকিরা কোয়ারেন্টাইনে আছে।
যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে এই অচলাবস্থার (করোনা ভাইরাস) অবসান হয় তাহলে আমাদের কোন অসুবিধা নেই। আমাদের কাজ চলতে থাকবে। বাইরে থাকা চীনাদের ছুটি দুই মাসের বেশি হলে সমস্যা হবে কিনা এবং বিকল্প কোন ব্যবস্থায় কাজ করা হবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই মাসের বেশি হলে কিছু সমস্যা হবে। চুক্তি যাদের সঙ্গে তারা বিকল্প কোথা থেকে দেবে। মাসদুয়েকের মধ্যে অসুবিধা হবে না।
ওদের অনুপস্থিতিতে সমস্যা হচ্ছে না, সমস্যা হবে দুই-আড়াই মাস পরে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। আর প্রকল্পের নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। উড়াল সেতুর অগ্রগতি নিয়ে কাদের বলেন, এখানে ফান্ড সমস্যা এখন আর নেই। প্রথম ফেজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। এখানে চাইনিজ আছে ২০ জন, ছুটিতে আছে ১৮ জন এবং মোট কর্মরত ৩৮ জন। এখানে আপডেট হচ্ছে ছুটিতে থাকা চাইনিজদের জন্য কোন অসুবিধা হচ্ছে না বা হবে না।
বিআরটি প্রকল্পে ৭২ চীনার মধ্যে একজন ছুটিতে। এখানে সেতু বিভাগের অংশে অগ্রগতি ২০ শতাংশ বলে জানান মন্ত্রী।
মেট্রো রেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে কাজ ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এখানে চীনা নাগরিক আছে ৫৮ জন, চীনে গেছে ৩১ জন। ফেরত এসেছে একজন। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এখানে কোন ইম্প্যাক্ট পড়বে না।
আরও সতর্ক বিমানবন্দর : করোনা ভাইরাসে ভয়াবহতা বাড়ায় আরও সতর্ক হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখনাকার স্বাস্থ্য সেবার তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে। গত ১৭ দিনে এ পর্যন্ত চীন থেকে মোট ৭ হাজার ৩৩১ যাত্রী দেশে ফিরেছেন। বুধবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, শুধু চীন নয়, সব যাত্রীকেই থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে দিয়ে স্ক্রীনিং করে পার হতে হচ্ছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এজন্য চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অতিরিক্ত আরও দশ চিকিৎসককে পদায়ন দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ নিয়ে বিমানবন্দরে পদায়নকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ জনে। ফলে এখন থেকে প্রতি বেলায় কমপক্ষে তিনজন করে চিকিৎসক সর্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। কোন যাত্রীর গায়ে জ্বর ও শরীর খারাপ শুনলেই চিকিৎসকরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন। বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডাঃ শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, সম্প্রতি চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় চীন ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়। চিকিৎসকের সংখ্যা মাত্র নয়জন হওয়ায় প্রতিদিন শাহজালাল বিমানবন্দরে চীন ফেরত চারটি ফ্লাইট (চায়না ইস্টার্ন, চায়না নর্দান, ড্রাগন এয়ার ও ইউএস বাংলা)-এর যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দুরূহ হয়ে পড়ে। চিকিৎসক সংখ্যা কম হওয়ায় যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার চেয়ে মূলত থার্মাল ও হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারে জ্বর ধরা পড়ার ওপর নির্ভর করতে হতো। নতুন করে ১০ চিকিৎসক পদায়ন দেয়ায় অধিক সংখ্যক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্ভব হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরে থার্মাল ও হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারে যাত্রীদের রোগ পরিমাপ করা হলেও চিকিৎসকরা রোগীদের প্রতি নজর কম দিতেন। প্রতিদিন চীন থেকে শুধু চারটি ফ্লাইটেই নয়, কমপক্ষে ১০/১১টি ফ্লাইটে চীন ফেরত যাত্রীরা ফিরে আসছেন। প্রতিটি ফ্লাইটে কমপক্ষে ১৬০/১৭০ যাত্রী হওয়ায় চিকিৎসকদের পক্ষে সব যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ঢিলেমে হচ্ছে নানা মহলে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এসব দেখে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে নতুন করে দশজন চিকিৎসক পদায়ন দেন। বুধবার বিকেলে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ডাঃ রাসেল জানিয়েছেন, সকালে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে গুয়াংজু থেকে ১৩৮ যাত্রী ঢাকায় আসেন। ওই ফ্লাইট ল্যান্ড করার পর পরই সবাইকে বাড়তি সতর্কতায় ডিউটি করতে দেখা যায়। এ সময় ১৩৮ জনকে বিশেষ নজরদারিতে থার্মাল স্ক্যানারে দীর্ঘ সময় নিয়ে স্ক্রীনিং করতে দেখা গেছে।
এদিকে আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে রাখা বাংলাদেশী ৩১০ শিক্ষার্থীর সেবা যত্ন বাড়ানো হয়েছে। তাদের সর্বক্ষণিক সুবিধা অসুবিধার দেখভাল করতে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সবাই আগের মতোই সুস্থ আছেন। সবার দেহের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এত কিছুর পরও তারা আর ক্যাম্পে থাকতে চাইছেন না। দ্রুত বাসায় ফিরতে উদগ্রীব হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত চিকিৎসক ও নার্স তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
ফিরতে চান বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আরও ১৭২ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চীন থেকে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাতে কাটাতে ঘরে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে পড়েছেন তারা। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের কাছেই ইচাং শহরে অবস্থান করছেন তারা। উহান শহরেই সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাস দেখা দেয়।