১৯ আসন পেল ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা

49

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপির কাছ থেকে শেষ পর্যন্ত ১৯টি আসন আদায় করতে পেরেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাতটি আসন পেয়েছে গণফোরাম, যার দুটি ঢাকায়। জেএসডি, নাগরিক ঐক্য পাঁচটি করে এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ পেয়েছে দুটি আসন।
সবগুলো দলই বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ ব্যবহার করবে। গতকাল গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়নের চিঠি তুলে দেওয়া হয় শরিক দলের নেতাদের কাছে।
আগের দিন বিএনপি ২০৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ৯৪টি ফাঁকা রাখে। এর মধ্যে ২০ দলের শরিকদের ৪০টির মতো আসন দেওয়ার বিষয়টি আগেই নিশ্চিত ছিল। বাকি আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয় নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলে শেষ দিনের শুনানির জন্য।
গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়। এই জোট গঠনের পর পুরনো জোট ২০ দলের চেয়ে ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গেই বেশি উঠাবসা করছে বিএনপি। তবে আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব বেশি পেয়েছে ২০ দলই।
গণফোরাম পেয়েছে যেগুলো
গণফোরাম শেষ পর্যন্ত ১২টি আসন পেতে আলোচনা চালিয়ে গেছে। তবে বিএনপি সাতটির বেশি দিতে চায়নি।
দলের নেতাদের মধ্যে সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬, মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-৭, এএইচএম খালিকুজ্জামান ময়মনসিংহ-৮, রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১, আবু সাইয়িদ পাবনা-১, আ আ ছা আ আমিন কুড়িগ্রাম-৪, এবং সুলতান মনসুর মৌলভীবাজার-২।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘আসন বণ্টন নিয়ে দরকষাকষি হবেই। আমারা আমাদের একটা অবস্থানে ছিলাম, সেটা থেকে আমরা ছাড় দিয়েছি।’
নাগরিক ঐক্য যেগুলো পেল
বগুড়া-২ আসনে মাহমুদুর রহমান মান্না, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এস এম আকরাম, বরিশাল-৪ আসনে জে এম নুরুর রহমান, রংপুর-১ আসনে শাহ মো. রহমতউল্লাহ ও রংপুর-৫ আসনে মোফাখখারুল ইসলাম নবাব চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন।
জেএসডির আসন
এই দলের মনোনয়নপ্রাপ্ত নেতারা হলেন: আ স ম আব্দুর রব লক্ষ্মীপুর-৪, আব্দুল মালেক রতন কুমিল্লা-৪ ও শহিদুল উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ঢাকা-১৮, নূরুল ইসলাম শরীয়তপুর-১, এবং কিশোরগঞ্জ-৩ আসনেও লড়বেন সাইফুল ইসলাম।
জনতা লীগের আসন দুটি
আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হবেন। টাঙ্গাইল-৪ আসনও পেয়েছে দলটি। সেখানে জনতা লীগের প্রার্থী দুই জন: কাদের সিদ্দিকীর ভাই আজাদ সিদ্দিকী এবং অপরজন লিয়াকত আলী। এদের মধ্যে যেকোনো একজন ধানের শীষ প্রতীক পাবেন।