বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন

15

পেঁয়াজের দরে বাজার এখনো অস্থির। আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করেও দাম সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। আমদানি বাড়ায় পেঁয়াজের হ্রাসমান দাম আবার হুট করে বেড়ে গেছে। দিন দুয়েক ধরে খুচরা বাজারে এর দাম প্রায় ২৫০ টাকা কেজি। এ অস্থিরতার ছাপ পড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যেও। চাল, ডাল, ডিম, সবজি, আটা, তেল—সব কিছুর মূল্য বর্ধমান। খুচরা বাজারে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিতে ছয়-সাত টাকা বেড়েছে। এ ব্যতিচারের কোনো প্রতিকার দেখা যাচ্ছে না।
পেঁয়াজের সঙ্গে সবজি, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। দিনাজপুরের হিলিতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৪০-৪৫ টাকা বেড়েছে; খুচরা বাজারে ১৩০-১৪০ টাকার পেঁয়াজ হঠাৎ ১৮০ টাকা হয়েছে। তবে ঢাকার খুচরা বাজারে এর দাম কেজিতে ২৫০ টাকায় উঠেছে। বরগুনার আমতলীতেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। পেঁয়াজ, ডিম, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং শীতের সবজির দাম বাড়তি। ময়মনসিংহের ফুলপুরে পেঁয়াজের জোগান বাড়লেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অভিযান চালানোর পরও দাম বাড়ছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার আমদানি করা এবং দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। খোলা আটা-ময়দা, ডাল, ডিম, আলু ও মুরগির দামও বেড়েছে। টিসিবি ওই দিন চালের দাম বাড়েনি বললেও বাজারে কেজিতে এক-দুই টাকা বাড়তি ছিল। সংস্থাটির এক মাসের হিসাব অনুযায়ী সরু চালের দাম বেড়েছে ৬.৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ ৪৫-৫৬ টাকার চালের দাম এখন ৪৮-৬০ টাকা কেজি। মোটা চালের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি; ৩০-৩৮ থেকে বেড়ে ৩৪-৪০ টাকা হয়েছে। নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ৪.৪৪ শতাংশ। তবে খুচরা বাজারের পরিস্থিতি ভিন্ন। চাহিদা ও সরবরাহে সংগতি রেখে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা কেন সম্ভব হচ্ছে না তা ভালো করে খতিয়ে দেখা দরকার। সাধারণের জীবনযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে বাজার নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।