ওসমানীনগরে দিন-দুপুরে ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক

9
ওসমানীনগরে ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা শামীম।

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে দিন-দুপুরে ছিনতাইকারীদের হাতে আহত জেলা ছাত্রলীগ নেতা শামিম আহমদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি গত ৫ দিন ধরে ঢাকাস্থ স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। ছিনতাইয়ের ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও চিহ্নিতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ছিনতাইকারীদের মারপিটে শামিমের একটি হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে প্রথমে তিনি সিলেট ওসমানী হাসপাতাল ও পরবর্তীতে নর্থইষ্ট মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গত ২২ সেপ্টম্বর থেকে তিনি ঢাকা স্কয়ার হাসাপাতালের ১০৩ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মাথায় মারাত্মক আঘাত থাকায় এটা থেকে শরীরে বিভিন্ন অংশে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে স্কয়ার হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার পরিবারের লোকজন জানান।
জানা যায়, গত ২৯ আগষ্ট ব্যাবসায়ী কাজে গোয়ালাবাজার থেকে মোটর সাইকেলযোগে সিলেটে যাওয়ার পথে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খাশিকাপন এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন এওলাতৈল গ্রামের তেরা মিয়ার পুত্র শামীম আহমদ। ছিনতাইকারীরা তাকে ব্যারিকেড দিয়ে মোটর সাইকেল ভাংচুরসহ তাকে মারপিট করে সাথে থাকা ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের মধ্যে আমিনুল হক সাবলু ও রাজু আহমদ নামের দুইজনকে তিনি ছিনতে পেরে গত ৩ সেপ্টম্বর চিহ্নিত দুই জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (৫)। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান অভিযুক্ত আমিনুল হক সাবলু থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে আহত শামিম ও তার ভাইকে অভিযুক্ত করে পাল্টা মামলা দায়ের করে। স্থানীয়দের মধ্যে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আহত শামীমের ভাই শাহিন আহমদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় আমার ভাইকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওসমানীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আমরা তাকে সিলেট নর্থইষ্ট মেডিকেলে নিয়ে আসি। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শরীলে আরও নানা রোগে উপসর্গ দেখা দেয় পরবর্তীতে চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখনও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মামলার প্রধান অভিযুক্ত ছিনতাইকারী সাবলু ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করায় এবং ছিনতাকারী কর্তৃক দায়েরকৃত পাল্টা মামলায় আমাদেরকে অভিযুক্ত করায় আমরা হয়রানির স্বীকার। আমাদের এখন মরার ওপর খাঁরার ঘাঁ পরেছে। এ ব্যাপারে আমরা পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার সেকেন্ড অফিসার সুজিত চক্রবর্তী বলেন, কিডনি জনতি সমস্যায় শামীম ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে শুনেছি। উভয় পক্ষের মামলা তদন্তাধীন থাকায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। আসামীদের গ্রেফতরে পুলিশ তৎপর রয়েছে।