শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে সিলেটে সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। সমাবেশে ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, যে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উপর বুলেট ছুড়েন তার উপাচার্য পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এর আগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চলমান অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীকে দেখতে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি দীপংকর সরকারের সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রীক ছাত্র ফ্রন্টের নগর সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাসের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ, ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার ও ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য রেহনুমা রোবাইয়াত।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করবে এটাই সংস্কৃতি। কিন্তু ন্যায্য দাবি দাওয়ার আন্দোলনে শাবির ভিসির নির্দেশে পুলিশ যে ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে তা পুরো দেশবাসীকে হতবাক করেছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে পুলিশ ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৩১ রাউন্ট শটগানের গুলি ছুড়েছে। আমরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের হলের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনে প্রথমে ছাত্রলীগ পরে পুলিশ দিয়ে হামলা করানো হয়েছে। আমরাও শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের মতো মনে করে যে ভিসি পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার নির্দেশ দেন তার ভিসি পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রগতিশীল ছাত্রজোট আন্দোলন করছে। যতদিন পর্যন্ত শাবির শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়া হচ্ছে ততোদিন পর্যন্ত প্রগতিশীল ছাত্রজোট রাজপথে থাকবে।
এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাসদ সিলেট জেলার সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান রানা ও ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরোজ কান্তি, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক প্রমুখ।
এর আগে বেলা একটার দিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময় তারা তার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। বিজ্ঞপ্তি