চেঙ্গেরখাল নদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ জন আটক

25

স্টাফ রিপোর্টার :
জালালাবাদ থানার চেঙ্গেরখাল নদী দিয়ে চলাচলরত নৌযানে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন জালালাবাদ থানার ওসি অকিল উদ্দিন আহমদ। জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনফর আলীর নেতৃত্বে এই চাঁদাবাজি চলছিল বলে জালালাবাদ থানা পুলিশ প্রেরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে- জালালাবাদ থানার কালারুকা গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র আনফর আলী (৪০), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চৈতনগড় গ্রামের মৃত আফতাব আলীর পুত্র সৈয়দুর রহমান (৩৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে আটককৃত ২ জন ছাড়াও আরও ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজহারনামীয় অন্য আসামীরা হলেন- জালালাবাদ থানার কালারুকা গ্রামের মৃত আরফান আলীর পুত্র একরাম আলী (৩৫), আবদুস সামাদের পুত্র আবদুর রহমান (৩২), ইমাম উদ্দিনের পুত্র শাহাব উদ্দিন (২৮), মৃত আজর আলীর পুত্র কুতুব উদ্দিন (২৯), মৃত জফুর আলীর পুত্র নজই (৩২), খাশেরগাঁও’র আবদুল আজিজের পুত্র আবুল (৩১), পূর্ব কালারুকার আছদ্দর আলীর পুত্র চাঁন মিয়া (৪৫), মৃত সৈয়দ উল্লাহর পুত্র সিরাজ (৩৩), পশ্চিম কালারুকার রহিম উল্লাহর পুত্র চুরমান (৩০), আলীনগর গ্রামের আবদুর নূরের পুত্র জমির (২৪), কমর আলী মেম্বারের পুত্র রুবেল (৩৪), মৃত এশাদের পুত্র বতুল (৪৫) এবং ওই গ্রামের জনৈক নজরুল (২৯) ও ফকির আলী (৪০)।
মামলার এজহারে অভিযোগ করা হয়, জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মনফর আলীর নেতৃত্বে চেঙ্গেরখাল নদীতে চলাচলকারী নৌযান থেকে দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র চাঁদা আদায় করে আসছে। প্রতিটি নৌকা থেকে তারা ভূয়া রসিদ দিয়ে তারা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযানকালে চাঁদা আদায়রত অবস্থায় ২ জনকে আটক করা হয়। এসময় বাকি চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে গত ১৯ জুন অভিযানকালে চাঁদাবাজরা পালিয়ে গেলেও তাদের ফেলে যাওয়া একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়।