স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা বিএনপির বহুল কাঙ্খিক্ষত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল আজ মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। রেজিষ্ট্রারী মাঠে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সম্মেলন ও কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে কাউন্সিলকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বিস্তারিত পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা বিএনপি ও গঠিত নির্বাচন কমিশন।
জানা গেছে, আসন্ন কাউন্সিলে ৩টি পদে লড়ছেন ৯ জন। গেল ২২ মার্চ নির্বাচন কমিশনের সভায় প্রার্থীদের নমিনেশন ফরম ও ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে সভাপতি পদে আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদে আলী আহমদ, এডভোকেট এমরান চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, আ. ফ. ম কামাল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শামীম আহমদ, লোকমান আহমদ ও এডভোকেট এম মুজিবুর রহমান মুজিবের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। জেলার আওতাধীন ১৮টি উপজেলা ও পৌর ইউনিটের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সকলেই কাউন্সিলে ভোট প্রদান করবেন। ১৮১৮ জন ভোটার গোপন ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। কাউন্সিলকে সামনে রেখে জেলা বিএনপিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। প্রার্থীগণ ও তাদের কর্মী-সমর্থকগণ উপজেলা ও পৌর এলাকায় ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে আলিয়া মাদরাসা ময়দানের পরিবর্তে রেজিষ্টারী মাঠে স্থান পরিবর্তন প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন, আমাদের সম্মেলন ছিল সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। ওইদিন সিলেট স্টেডিয়ামে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ থাকায় স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে রেজিস্ট্রি মাঠে।
কাউন্সিল ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, কমিটি হবে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে। যে কারণে তারা যাকে চাইবে তারাই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হবেন। আমার বিশ্বাস দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে যারা ভালো কাজ করতে পারবেন কাউন্সিলররা তাদেরই বেছে নেবেন।
গত ২১ মার্চ ছিলো সিলেট জেলা বিএনপির এই কাউন্সিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আগের দিন ২০ মার্চ হঠাৎ করে তা স্থগিত করা হয়। এক পর্যায়ে সভাপতি পদে শক্তিশালী প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী নাটকীয়ভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে কেন্দ্র নির্দেশ দেয়া হয় কাউন্সিলের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এরপর জেলা বিএনপি ও নির্বাচন কমিশন চুড়ান্ত ভোটার তালিক প্রস্তুত করে কেন্দ্রে প্রেরণ করলে কেন্দ্র আজ ২৯ মার্চ মঙ্গলবার জেলা বিএনপির কাউন্সিলের পরবর্তী তারিখ ঘোষণার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এর আলোকে কাউন্সিল আয়োজন করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে আবুল কাহের চৌধুরী শামীম সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে এই কমিটি বিলুপ্ত করে কামরুল হুদা জায়গীরদারকে আহবায়ক করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।