বিশেষ সম্পাদকীয় ॥ আলোর বাতি ঘর

19

দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকার আজ ১৮ বছর পূর্ণ করলো। যে সময়ে অনলাইন গণমাধ্যম ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করে পাঠককে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। ঠিক এই সময়ে একটি ছাপা কাগজ দীর্ঘ ১৮ বছর পূর্ণ করা অনেকটা স্রোতের বিপরীতে লড়াই করে তীরের বেড়ার মতো। তবে আমরাও সময় ও পাঠকের চাহিদাকে বিবেচনা করে এরই মধ্যে অনলাইন ভার্সন নিয়ে পাঠকের সামনে হাজির হয়েছি। প্রতি মুহূর্তের খবর জানিয়ে দিচ্ছে অগণিত পাঠককে। আমাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পাঠকরা। যারা সব সময়ই আমাদের দুঃসময় ও সুসময়ের সহযাত্রী। ডিজিটাল প্রযুক্তির এই সময়ে সরকারী বেসরকারী অনেক প্রতিষ্ঠান ছাপা কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়ার ক্ষেত্রে আগের অবস্থানে নেই। এছাড়া ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি পত্রিকাকে যারা এগিয়ে নিয়ে যান সেই সব শোভাকাক্সক্ষীদের চাহিদাও এখন অনলাইন গণমাধ্যম। যে কারণে ছাপা কাগজে বিজ্ঞাপনের মাত্রা ক্রমশ: কমছে। এই অবস্থায় একটি স্থানীয় দৈনিককে অদূর ভবিষ্যতে বাঁচিয়ে রাখা কতটুকু সম্ভব হবে এটা সময়ই বলে দেবে। দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকা ১৮ বছর পূর্ণ করেছে একক মালিকানায়। যেখানে বিভিন্ন শিল্প বাণিজ্যিক গ্র“প যৌথ মালিকানায় দৈনিক পত্রিকা বের করেও টিকিয়ে রাখতে পারছেন না, সেখানে একক মালিকানায় একটি দৈনিক ১৮ বছর অব্যাহতভাবে প্রকাশনা চালিয়ে যাওয়া রীতিমত চ্যালেঞ্জ। আর এটা সম্ভব হয়েছে পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশকের গণমাধ্যমের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। শুধু তাই নয় কাগজটি বন্ধ হয়ে গেলে এর সাংবাদিক ও কর্মকর্তা -কর্মচারীরা এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে পড়বেন এই চিন্তা থেকেও তিনি মাসের পর মাস বছরের পর বছর লাখ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়েও কাগজটির নিয়মিত প্রকাশনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা দেশের গণমাধ্যম মালিকদের জন্য যেমন এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তেমনি সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ও তিনি এক আলোর বাতি ঘর। আজকের এই বর্ষ পূর্তিতে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি তাদের যারা এক সময়ে এই কাগজটির সাথে জড়িত ছিলেন কিন্তু আজ তাদের অনেকেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সেই সব সাংবাদিকদের প্রতি যারা এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত না থাকলেও দূর থেকে নানা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে আমাদের চলার পথে অকৃত্রিম বন্ধুর মত হাত বাড়িয়ে রেখেছেন। আমরা আগামী দিনেও তাদের সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় সিক্ত হতে চাই। সেই সাথে চাই সবার আগে সঠিক খবরটি নিয়ে প্রতি মুহূর্তে পাঠকের সামনে হাজির হতে।