দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরী সভা গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে জিন্দাবাজারস্থ একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় সভাপতি নাছির উদ্দিন এডভোকেট এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা মকসুদ হোসেনের পরিচালনায় সভায় গত ২০ আগষ্ট মন্ত্রী সভায় ফৌজদারী মামলায় সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার করা যাবে না মর্মে সরকারি কর্মচারী আইন অনুমোদন লাভ করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, বিএনপি জোট সরকারের আমলেও পাবলিক সার্ভিস নামে এই ধরনের একটি আইন পাস করার চক্রান্ত হয়েছিল। এরই আদলে বর্তমান সরকার ২০১৬ সালে সরকারি কর্মচারী আইন পাস কারার উদ্যোগের বিরুদ্ধে অত্র সংগঠন সহ দেশের সচেতন নাগরিকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে সরকার গণবিরোধ সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকে। কিন্তু কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ করে ঈদুর আযহার আগে দিন মন্ত্রী সভার বৈঠকে সরকারি চাকুরী আইন নামে দুর্নীতি বিরোধী অধ্যাদেশ পাশ হয়। এই অধ্যাদেশ কার্যকর হলে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি ব্যাপক বিস্তার ও নৈরাজ্য, চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করবে। যা সামাল দেয়া যাবে না। অনতি বিলম্বে দেশবাসী দুর্নীতির ব্যাপারে সরকারি চাকুরেদের ছাড় সংক্রান্ত আইন বাতিল চাই। অন্যথায় গণআন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় গত ৩০ আগষ্ট টিআইবি’র এক সংবাদ সম্মেলনে থানা জরিপে দুর্নীতিতে শীর্ষে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আইনী সেবা পেতে বছরে ঘুষ দিতে হয় ১০ হাজার কোটি টাকা। এই রিপোর্টের ব্যাপারে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠ প্রকাশ করে বলা হয় শুধু জরিপ করলে গণফায়দা হবে না। প্রকৃত গণফায়দা আনতে হলে রাজপথে এই রাগব বোয়ালদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের বিধানের আন্দোলন কর্মসূচি থাকতে হবে। সভায় সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহন নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর উপর অবিশ^াসযোগ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার, কারাবরণ ও হয়রানীর তীব্র প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে। এর প্রতিকার করা দরকার। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহন নৈরাজ্যের গডফাদার ও গডমাদারদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেশবাসী দেখতে চায়।
সভায় সরকারি চাকুরী আইন বাতিল, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিষয় সম্পত্তির হিসাব দাখিল বাধ্যতামূলক ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিষিদ্ধের দাবিতে আগামী ২ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ এডভোকেট, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ অরুণ কুমার দেব, দক্ষিণ সুরমা শাখার আহবায়ক আব্দুল ওয়াহিদ, কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদ বিলাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মুতাওয়াল্লী ফলিক, শেখ কবির আহমদ, কয়েছ আহমদ সাগর, আফছারুজ্জামান আফছর, আবুল কালাম আজাদ, জাবেদুল ইসলাম দিদার, আব্দুস সোবহান, যুব ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী ইসমত ইবনে ইসহাক সানজিদ, ইমাম হোসেন, আমিন তাহমিদ, রিকন তালুকদার লিকন, রোটারিয়ান মাহবুব ইকবাল মুন্না, মোঃ মলিকুর রহমান মলিক, মোঃ আলমগীর, এম. জাকারিয়া সায়মন, কাওছার আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি