রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ১৭টি অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্য ॥ ব্যবসায়ীরাও বেপরোয়া

18

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা মহামারীর পর এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অস্থির হয়ে পড়েছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। দ্রব্যমূল্য বাড়ায় কষ্টে আছেন সাধারণ মানুষ। দেশে এখন রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ১৭টি অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্য। নিত্যপণ্যের দাম এত বেড়েছে যে, চাল কিনলে ফুরিয়ে যাচ্ছে লবণের পয়সা। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি-সবমিলিয়ে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস এখন চরমে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে খ্যাত পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ছোলা, শুকনো মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, চিনি ও খাবার লবণ গরিব মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব পণ্য কিনতে চাপে আছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরাও। এর পাশাপাশি দেশের প্রধান খাদ্যপণ্য চাল, আটা ও ময়দা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা স্বার্থে দেশে আটটি আইন ও বিপণন আদেশ থাকলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইনেরই যথাযথ প্রয়োগ নেই। আর এ কারণেও দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারী একাধিক উদ্যোগ থাকলেও বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। হু হ করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।
জানা গেছে, হাওড়ে আগাম বন্যার কারণে এবার ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। টাকার বিপরীতে ডলারের দামে রেকর্ড হওয়ার ফলে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া, বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেল জ্বালানি তেলের দাম বাড়তি, অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজি, ভারতের গম রফতানি বন্ধের খবরসহ নানা কারণে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের কারণে সব শ্রেণীর মানুষ এখন চাপের মুখে পড়েছেন। তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এতে করে কষ্ট বেড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের। অথচ ভোগ্যপণ্য নিয়ন্ত্রণে দেশে আটটির বেশি আইন রয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাজার ব্যবস্থাপনা, তদারকির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেল, খাদ্য অধিদফতর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ সরকারের একাধিক বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু মাঝেমধ্যে বাজার পরিদর্শন, শহরাঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কিছু অভিযান-জরিমানার মধ্যেই তাদের কর্মতৎপরতা সীমাবদ্ধ। ফলে ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরে আসছে না।
এদিকে সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক বছরে ৭ থেকে প্রায় ৬১ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল, ডাল, আদা ও রসুনসহ বিভিন্ন আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের। এক বছর আগে এক লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৪-১২৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন সেই একই পরিমাণ সয়াবিন কিনতে হচ্ছে ১৯০ টাকায়। একইভাবে প্রতিলিটার পাম অয়েল খোলা ১১০-১১৪ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৭০-১৭৫ টাকা। অর্থাৎ প্রতিলিটার সয়াবিন ৪৮ শতাংশ এবং পাম অয়েলে ৫৫ শতাংশ দাম বেড়েছে গত এক বছরে। এর পাশাপাশি মানভেদে প্রতিকেজি মসুর ডালে ৪৫-৫২ শতাংশ দাম বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১৩০ টাকায়। প্রতিকেজি পেঁয়াজে ১৯ শতাংশ দাম বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, প্রতিকেজি রসুনে ৪৩-৪৫ শতাংশ দাম বেড়ে ১৬০-১৮০ টাকা, চিনিতে ৭ শতাংশ দাম বেড়ে ৭৮-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া প্রতিকেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ এবং গত এক বছরে দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪০ শতাংশ। দাম বেড়ে প্রতিকেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায় এবং দাম বৃদ্ধির হার ৬১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয় প্রতিকেজি মোটা চালে গত এক বছরে ৫ শতাংশ দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকায়। একই সঙ্গে সরু চালে ৮ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়ে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চাল ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা, মসলাপাতি ও মাছ-মাংস চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিটি ভোগ্যপণ্য এখন রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইনেরই যথাযথ প্রয়োগ নেই এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। বাজারে অতিরিক্ত মুনাফাকারী, অননুমোদিত পরিমাণে পণ্য গুদামজাতকারী, অবৈধ আড়তদার, সংগঠিত সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজ থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত যারা নানা উপায়ে পণ্যের দাম অস্থিতিশীল করে তাদের প্রতিরোধে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন-পুরনো আটটির বেশি আইন আছে। পুরনো আইনগুলোর মধ্যে দি এ্যাসেনশিয়াল আর্টিক্যালস (প্রাইস কন্ট্রোল এ্যান্ড এ্যান্টি-হোর্ডিং) এ্যাক্ট ১৯৫৩, দ্য কন্ট্রোল অব এ্যাসেনশিয়াল কমোডিটিস এ্যাক্ট ১৯৫৬, অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যাদি নিয়ন্ত্রণ আদেশ ১৯৮১, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ ২০১১ অন্যতম। কিন্তু এসব আইনের এখন প্রয়োগ নেই বললেই চলে। নতুন আইনের মধ্যে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩, প্রতিযোগিতা আইন ২০১২, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২০ অন্যতম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় বাজারে কারসাজি ঠেকাতে এবং ভোগ্য পণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখতে প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগের কথা বলছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন কারণে দেশে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি এবং অন্যদিকে দেশীয় ব্যবসায়ীদেরও কারসাজি রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল ফের রফতানি শুরু করেছে এবং ভারত থেকে সরকার টু সরকার গম আমদানি করা হবে। এছাড়া পেঁয়াজের দাম বাড়লে আবার আমদানি অনুমতি (আইপি) দিবে সরকার। তিনি বলেন এসব উদ্যোগের কারণে সামনের দিকে দাম বাড়ার তেমন কোন সুযোগ নেই। ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, এজন্য সরকারীভাবে টিসিবিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। আগামী জুন মাস থেকে টিসিবির কার্ডক্রম শুরু হচ্ছে। সারাদেশের এক কোটি মানুষ টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের পণ্য কিনতে পারবেন। এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে।
জানা গেছে, ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে গত ২০১১ সালে পেঁয়াজ, রসুন, লবণসহ ১৭টি পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬-এর আওতায় এসব পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে এসব পণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১৯৫৬ সালের আইনে বেশি কিছু পণ্য অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে ঘোষণা করা আছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশে পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেল নিয়ে যা হয়েছে তা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী কাজ করছেন ব্যবসায়ীরা। অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে প্রতিকেজি পেঁয়াজে এক সময় ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে ভোক্তাকে। আর সর্বশেষ ভোজ্যতেল নিয়ে সবচেয়ে বড় কারসাজি হয়েছে দেশে। এ কারণে এবার ঈদের আগে ও পরে অনেক সাধারণ মানুষ ভোজ্যতেল কিনতে পারেনি। এখন লাখ লাখ লিটার অবৈধভাবে মজুদকৃত ভোজ্যতেল উদ্ধার করছে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ও বাজার বিশেষজ্ঞ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি। তবে এখন নতুন দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ভোক্তা ও বিক্রেতা পর্যায়ে যৌক্তিক দামে এ পণ্য বিক্রি এখন চ্যালেঞ্জ। পেঁয়াজসহ ১৭টি অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্য বাজারে সরবরাহের নিয়মের ক্ষেত্রে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে আমদানিকারক, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীর নিবন্ধন থাকা এবং তাদের লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে তাদের কেনাবেচার পাকা রসিদ থাকা দরকার। এটি হলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে আইনের কাঠামোতে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। মজুদদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের অযাচিত মুনাফা করার সুযোগ থাকবে না। এজন্য এখনই জরুরী বিধিবদ্ধ সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে আসা দরকার। এদিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিবেশ ও খাদ্যাভ্যাসের নিরিখে ভোগ্যপণ্য ধরা হয় নয়টি পণ্যকে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন প্রধান চাহিদা অনুযায়ী চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, আটা, ময়দা, লবণ ও দুধ রয়েছে এ তালিকায়। তবে মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তের হিসাবে চাহিদার সংখ্যা কিছু বেশি। এর মধ্যে প্রধান ভোগ্যপণ্য হিসেবে ধরা হয় চাল, চিনি, গম, ডাল ও ভোজ্যতেলকে। দেশের বাজারে অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যগুলো নিয়েই কারসাজি, মজুদ, দাম বাড়ানোর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে যেসব নিত্যপণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলো নিয়ে কারসাজির পরিমাণও বেশি। এসব নিয়ন্ত্রণে আমদানিনির্ভর অতি নিত্য ভোগ্যপণ্য বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় মজুদ প্রতিরোধ, কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সঙ্কট প্রতিরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি আইন প্রণয়ন করে। ২০১১ সালে জারি হয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ। একই সঙ্গে দীর্ঘদিনের ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) প্রথা বাতিল করা হয়। সারা দেশে অঞ্চলভিত্তিক ডিলার নিয়োগ ও সমানুপাতে আমদানি করা পণ্য বিপণনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে শুরু থেকেই অনীহা ছিল ব্যবসায়ীদের। তবে বাস্তবায়নকারী সরকারী সংস্থাগুলোকেও তেমন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
ফলে আইন প্রণয়ন হলেও বন্ধ হয়নি অতি নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে কারসাজি। এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সব হিসাব-নিকাশ আবার পাল্টে দিয়েছে। ফলে দেশে দেশে চাহিদা বাড়ছে খাদ্যপণ্যের। এছাড়া রাশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ শস্য উৎপাদনকারী উল্লেখযোগ্য দেশগুলোতে ডাল ও গমের মতো শস্যের ফলন কম হয়েছে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কন্টেনার সঙ্কট। তেলের দাম ও কন্টেনার সঙ্কটের ফলে বেড়েছে জাহাজ ভাড়া। সব মিলিয়ে ভোগ্যপণ্যের বিশ্ববাজার এখন নাগালের বাইরে। জানা গেছে, ১৯৬৪ সালের এ্যাগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেটস রেগুলেশন এ্যাক্ট ও ১৯৮৫ সালের সংশোধিত বাজার নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৬(১) ও ১৬(২) ধারা মতে কৃষিজাত ও ভোগ্য পণ্যের ক্রয়মূল্য, বিক্রয়মূল্য ও মজুদ পরিস্থিতি তদারকির ক্ষমতা রয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতরের বাজার কর্মকর্তাদের। তারা সাধারণত আইনটির প্রয়োগ করেন না। তাছাড়া ১৯৫৬ সালের মজুদবিরোধী ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কতটুকু মজুদ করা যাবে। আইনটিতে উৎপাদক, ভোক্তা ও বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণেও ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া এ্যান্টি-হোর্ডিং এ্যাক্ট ও এ্যাসেনশিয়াল কমোডিটিস এ্যাক্ট মডিফাই করে ২০১১ সালে ১১৩ নম্বর এসআরওতে, বিশেষ করে মজুদবিরোধী আইনটি আরও কঠোর করা হয়। সেটিও কার্যকর হয় না।