সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
গোলাপগঞ্জে ফরহাদ আহমদ (২৫) নামে এক দিনমজুরের ঝুলন্ত লাশ ও খালেদা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিনমজুর ফরহাদ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউপির ফুলবাড়ী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত তালন আলীর ছেলে। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ফরহাদ আহমদ পেশায় একজন দিনমজুর ছিল। গত রবিবার (১৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল সোমবার স্থানীয় লোকজন তাকে বাড়ির পাশে একটি গাছের ডালে মাফলার দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে স্বজন ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মনজুরুল একদল পুলিশ নিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। এদিকে দুপুরে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ খালেদা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। সে শরিফগঞ্জ ইউপির লামামেহেরপুর গ্রামের মৃত আখতার হোসেনের মেয়ে ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার রুপশপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে জাহাঙ্গির আলম (৩৫) এর স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন থেকে মানসিক রোগী ছিল। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় তার নিজ পিত্রালয় নিজ বসতঘরে ধারালো ছুরা দিয়ে গলায় আঘাত করে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে এসআই মৃদুল ভৌমিক একদল পুলিশ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। নিহতের চাচা জালাল উদ্দিন বলেন,স্বামী জাহাঙ্গির আলম দু’দিন আগে স্ত্রী খালেদা বেগমকে নিয়ে শশুর বাড়ীতে ভেড়াতে নিয়ে আসেন। কয়েকদিন আগে নিহতের বড় ভাই ফ্রান্স থেকে দেশে আসেন। বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানও ছিল। খালেদার হানিয়া তিন্নি বেগম নামে দেড় মাসের এক সন্তান রয়েছে। এখন কি হবে ওই শিশুটির। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি দিনমজুর ও গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা উদ্ধার হওয়া দুটি লাশই ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। উদ্ধার হওয়া দুটি লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।