কমলগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত

1

কমলগঞ্জ সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নুরজাহান চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম- আলাল মিয়া (৪৫)। তিনি সিলেটের মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপার গ্রামের সেজুল মিয়া (৩৭), শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মালেক (৪১) ও জাসিম মিয়া ওরফে জসিম (৩৮)।
শনিবার রাতে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নুরজাহান চা-বাগানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছালেহ আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ইউপি সদস্য ছালেহ আহমদ বলেন, শনিবার রাত পৌনে ২টার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল তার বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চা বাগানের পাগলা ঘণ্টা বাজালে চা শ্রমিকেরা ডাকাতদের ঘেরাও করেন। এ সময় ডাকাতেরা হামলা করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাদেরকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আলাল মিয়া মারা যান। তিনি বলেন, রবিবার ভোরে রক্তের ছাপ দেখে চা বাগানের ভেতর থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মালেককে তীরবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদের ধারালো দায়ের কোপে এক গ্রাম পুলিশ আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসা বাকি ডাকাত সদস্যরা মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপাড় গ্রামের সেজুল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ৪ জন পালিয়ে গেলেও সেজুল মিয়াকে আটক করা হয়। পরে রবিবার সকাল ৯ টার দিকে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের সেকশন থেকে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শ্রীপুর গ্রামের জাসিম মিয়া ওরফে জসিমকে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন চা শ্রমিকেরা। পুলিশ আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামীম আকনজি বলেন, ডাকাতি করতে এসে পিটুনিতে একজন মারা গেছেন। আহত অবস্থায় দুজনকে আটক করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।