কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের সব জেলায় শিশু আদালত প্রতিষ্ঠার বিধান রেখে সংসদে ‘শিশু (সংশোধন) বিল ২০১৮’ পাস হয়েছে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সংসদে প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলটির জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ হয়।
বিলটি গত ২৬ জুন সংসদে তোলার পর তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটির বিষয়ে সংসদীয় কমিটি গত ৪ জুলাই সংসদে রিপোর্ট দেয়। পরে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৮০ (১)(খ)(অ) উপবিধি অনুসারে বিলটি সামগ্রিক পরীক্ষার জন্য আবারও সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়ছিল। পরে কমিটি আবারও সংসদে রিপোর্ট পেশ করে।
আইনের ১৫ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য আইনে যা-ই থাকুক না কেন, কোনও অপরাধের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু জড়িত থাকলে পুলিশ প্রতিবেদন, অনুসন্ধান প্রতিবেদন বা তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর জন্য পৃথকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও পৃথকভাবে নিতে হবে।
আইনের ১৫ (ক) ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, শিশুর অপরাধ বিচারের জন্য মামলা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ শিশু আদালতে পাঠাতে হবে।
আইনের ১৬ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, শিশুর করা অপরাধ বিচারের জন্য প্রতিটি জেলা সদরে শিশু আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। কোনও জেলায় এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল না থাকলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে।
আইনের ১৮ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দায়রা আদালত যে সব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, শিশু আদালতও একই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
২৯ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, শিশু আদালতে শিশুর জামিন মঞ্জুর না হলে আদালত জামিন মঞ্জুর না করার কারণ লিপিবদ্ধ করে শিশুকে কোনও প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর আদেশ দেবেন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে দেওয়া বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের কল্যাণ, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করে তাদের জাতি গঠনের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য এই বিল আনা হয়েছে।’