তাহিরপুরে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু

13

 

বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর

তাহিরপুরে বৌলাই নদীতে হাউজবোট চালানোর সময় নদী পারাপারে তারে শর্ট খেয়ে পানিতে পড়ে এক ব্যাক্তি নিখোজ হন। নিখোজের ৫ ঘন্টা পর সুনামগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি এসে বৌলাই নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যাক্তির নাম জানে আলম জেন্টু(৪২)। তিনি তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। পেশায় তিনি একজন রাজমেস্ত্রী। শনিবার দুপুর ১১টার দিকে রতনশ্রী পুরাতন হাটি গ্রামের সামনে বৌলাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন ও রতনশ্রী গ্রামের স্থানীয় লোকজন জানায়, রতনশ্রী পুরাতন হাটি গ্রামের ইয়াজুল হকের নতুন তৈরী হাউসবোটের ওয়াশরুমে টাইলস লাগানোর কাজ করে রাজমিস্ত্রি জানে আলম জেন্টু। কাজ শেষ করে নৌকার উপর দাড়িয়ে বোটের মালিক ইয়াজুল হক, তার ছেলে ও আরো দু’একজন কে নিয়ে বৌলাই নদীতে হাউজ বোট ট্রায়াল দেয়। সে সময় গ্রামের পশ্চিমে গোবিন্দ্রশ্রী থেকে রতনশ্রী গ্রামে বিদ্যুত পারাপারের তারে শর্ট খেয়ে পানিতে পড়ে জানে আলম জেন্টেু নিখোজ হয়। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। হাউজবোটের মালিক ইয়াজুল হক (৫৫) ও তারে ছেলে উষাশ (১৭)। তারা দ’ুজনেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎিসা নিচ্ছেন।
ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ, নিহত ব্যাক্তির আত্মীয় স্বজন নদীতে জাল ফেলে অনেক খোজাখুজি করেন সেই সাথে তাহিরপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরবর্তীতে জেলা সদর সুনামগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দু’জন ডুবুরি এসে বিকেল ৪ টার সময় নিখোজ ব্যাক্তি জানে আলম জেন্টুর লাশ উদ্ধার করেন।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়রা অনেক খুজাখুজি করেন, পরবর্তীতে ডুবুরির সহায়তায় লাশ উদ্ধার করি।