কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
বাব-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয় স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশিদের আর্তনাদ ও অশ্র“ সজল চোখে কানাইঘাটে বজ্রপাতে নিহত ২ শিক্ষার্থী আপন চাচাতো ভাই শিশু তোফায়েল আহমদ তামিম (১১) ও সালমান আহমদ (১২) এর লাশ জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় স্থানীয় হারাতৈল উপর বড়াই জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাদের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় এলাকার শত শত শোকাহত লোকজন শরীক হন। গত মঙ্গলবার বিকেল অনুমান ২টার দিকে হারাতৈল উপর বড়াই গ্রামের করিম আলীর শিশু পুত্র তোফায়েল আহমদ তামিম ও তার চাচাতো ভাই ফখরুল আহমদের শিশুপুত্র সালমান আহমদ স্থানীয় হারাতৈল দক্ষিণ হাওরে বোরো ধান কাটারত তাদের পিতা ও স্বজনদের দুপুরের খাবার নিজ বাড়ী থেকে হাওরে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হাওরে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে বজ্রপাতে তামিম ও তার চাচাতো ভাই সালমানের আকর্ষিক মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে নিহত ২ শিশুর লাশ তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসা হলে পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নিহতদের বাড়ীতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও তাদের সহপাঠীরা ভীড় করে লাশ দেখে অনেকে কাঁদতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন কিছুইতেই তামিম ও সালমানের অকাল দুঃখ জনক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তাদের বাবা-মা, ভাই-বোন ও স্বজনরা বাকরোদ্ধ হয়ে পড়েছেন। বজ্রপাতে নিহত তামিম স্থানীয় দূর্গাপুর হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও সালমান হারাতৈল আনোয়ারুল উলূম ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। এদিকে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় লোকজনের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সোমবার সুনামগঞ্জে বোরো ধান কাটতে গিয়ে বড় চতুল ইউ.পির রায়পুর গ্রামের ইলিয়াছ আলীর পুত্র ইয়াহিয়া (২৮) বজ্রপাতে নিহত হয়।
এদিকে ছাতক থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন: ছাতকে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ছাতক সদর ইউনিয়নের গয়ার হাওরে বজ্রপাতে তার মৃত্যু ঘটে। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাজীহাটা গ্রামের মৃত আলকাব আলীর পুত্র খেলু মিয়া(৩৮)। সকালে জমির ধান কাটতে গয়ার হাওরে যায় খেলু মিয়া। দুপুরে তার উপর বজ্রপাত পতিত হলে ঘটনাস্থলেই খেলু মিয়ার মৃত্যু ঘটে।