কাজিরবাজার ডেস্ক :
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর দুজন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয়েছে। ফাঁসির আদেশ হয়েছে দলটির আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধেও। এর মধ্যে আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির চূড়ান্ত রায়ের বিপরীতে আসামিপক্ষের পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির অপেক্ষায় আছে। আগে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের রায় ঘোষণার আগে-পরে হরতাল কর্মসূচিসহ রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও করতে দেখা যেত জামায়াতকে। কিন্তু এখন কেবল একদিনের ‘বিক্ষোভের’ মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাজনৈতিক কর্মসূচি।
তবে দলের শীর্ষ নেতার ফাঁসির রায় ঘিরে ব্যাপক নাশকতার ছক এঁকেছে জামায়াত। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, নাশকতার ছক নিয়ে তলে তলে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াত। নভেম্বর মাস ঘিরে নাশকতার ছক কষছে জামায়াত-শিবির। রাজধানীকেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি নাশকতামূলক ঘটনার পরিকল্পনার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শিবির নেতাকর্মীরা ঢাকা, ঢাকার উপকণ্ঠ এবং বগুড়ায় বসে এ পরিকল্পনা করে।
গাবতলীতে তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মোল্লাকে হত্যার পর হাতেনাতে গ্রেফতার করা মাসুদ রানা পুলিশকে জানিয়েছেন, বগুড়ার আদমদীঘি জামায়াতের আমিরের নেতৃত্বে একটি পরিকল্পনা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা শিবিরের সভাপতি এনামুল হকের নেতৃত্বে কিছু বিস্ফোরক ও অস্ত্র নিয়ে তারা ঢাকায় আসে। গাবতলীতে এসে তল্লাশি চৌকিতে ধরা পড়ার কারণেই খুন করা হয় এএসআই ইব্রাহিমকে। এনামুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বোমাসহ জামায়াত-শিবিরের কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘ইব্রাহিম হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জামায়াত-শিবিরের নাশকতার পরিকল্পনার ব্যাপারে তথ্য পেয়েছি। ফলে হোসেনি দালানের ঘটনার সঙ্গে এর যোগসূত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পূর্বাপর ঘটনা বিশ্লেষণ করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নাশকতা চালাতে পারে এমন অনেক তথ্যই আমাদের কাছে রয়েছে।’
এই ঘটনার পর ৪ নভেম্বর আশুলিয়ায় একই কায়দায় খুন হন পুলিশ সদস্য মুকুল হোসেন। হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই অতর্কিত কোপায় তিনজনকে। এরপর গুলি করতে করতে পালিয়ে যায় তারা। কারা এই হামলা করেছে তা খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে ইব্রাহিম ও মুকুলের ওপর হামলার ধরন দেখে এর সঙ্গেও জামায়াত-শিবির জড়িত কি না সে প্রশ্ন উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এরই মধ্যে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর ঠেকাতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মুজাহিদের ফাঁসির সাজা বহাল রেখে আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ১৪ দিনের মাথায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়। আগামী ২ নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। রিভিউতে যদি ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে তাহলে বাকি থাকবে কেবল রাষ্ট্রপতির ক্ষমা। সেটি হবে মুজাহিদের আইনগত প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ।
কেবল নেতারা নয়, বিচার হবে জামায়াতেরও : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জার্মানিতে বিচার হয়েছে হিটলারের রাজনৈতিক দল নাৎসি পার্টিরও। দলটি নিষিদ্ধের পাশাপাশি তাদের প্রতীক বা স্লোগান ব্যবহার এখনও দ-নীয় অপরাধ। বাংলাদেশেও যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে সক্রিয় সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মীরা বলে আসছেন বাংলাদেশেও কেন এমনটা হবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একাধিক রায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধের নানা কর্মকান্ড উঠে এসেছে। ট্রাইব্যুনাল দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীও বলেছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে এই দলটির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে অনুরোধও করা হয়েছে।
একাধিক রায়ে একই পর্যবেক্ষণ আসার পর সরকার দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের উদ্যোগও নেয়। এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তদন্ত শেষ করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে সংগঠনের বিচারে শাস্তির কথা বলা নেই, এমন যুক্তিতে এখনও এই বিচার শুরু করেনি সরকার। এ জন্য ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রী বলেন, আইনের বর্তমান বিধান অনুযায়ী অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা আপাতত সম্ভব নয়। কারণ এ ক্ষেত্রে অপরাধী সংগঠনের শাস্তির বিধান নেই। আবার ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে মামলা হলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধনের মামলায় তার প্রভাব পড়তে পারে। তৃতীয়ত, অন্যান্য আইনে অপরাধী সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের শাস্তির বিধান রয়েছে। ইতিমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের অপরাধী সংগঠন চালানোর দায়ে আবার সাজা দেওয়া হলে তা আগের সাজার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কি না, সেটাও বিবেচনা করতে হবে।
তবে আইনমন্ত্রীর এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নন সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান আইনেই বলা আছে, অপরাধীর যেকোনো সাজা দিতে পারবে ট্রাইবুনাল। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের বিচার ও শাস্তি দেওয়া যায় কি না, এটা বলার সম্পূর্ণ এখতিয়ার ট্রাইবুনালের। রাষ্ট্রপক্ষ তথ্য-উপাত্ত বা প্রমাণপত্র দিলে ট্রাইব্যুনালই সিদ্ধান্ত নেবে বিচার করা যায় কি না বা করা গেলে কীভাবে করা যায়। এরপর জামায়াত অপরাধী প্রমাণিত হলে সংগঠনকে শাস্তির বিষয়েও ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা দেওয়া আছে।
২০১৪ সালে জাতীয় সংসদে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের মাধ্যমে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনেরও বিচারের বিধান যোগ করা হয়। সে সময় সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছিলেন, এই সংশোধনীর কারণে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনীর বিচার করা যাবে। যদি তদন্তে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় যে, জামায়াতে ইসলামীও হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তবে এই সংগঠনও শাস্তি পাবে।
ইতিহাসবিদ এবং আইনজ্ঞরা মনে করেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে এসব তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন কোনো ব্যাপারই নয়। কারণ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উন্মত্ত হামলার পরপর জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। আক্রমণকারী বাহিনীর সঙ্গে জামায়াতের বৈঠকের ছবি বা গণমাধ্যমে প্রকাশিক সংবাদ এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালে অকাট্য প্রমাণ হিসেবে দেখানো যাবে। পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের সে সময়ের আমির গোলাম আযমের বইয়েও এসব কথা উঠে এসেছে। দখলদার বাহিনীকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে সে সময় রেডিওতে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন জামায়াতের নেতা হিসেবেই। এর পাশাপাশি শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনী গঠনেও জামায়াতের পরামর্শ বা সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল সর্বজনবিদিত।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে লড়াই এবং গ্রামগঞ্জে মুক্তিকামীদের দমনে জামায়াত নেতা এ কে এম ইউসুফের (মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালে সম্প্রতি মারা যান তিনি) নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনায় প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। শান্তি কমিটিতেও সে সময় জামায়াত এবং মুসলিম লীগ নেতাদের একাধিপত্য ছিল। কারা পাকিস্তানি বাহিনীর বেশি কাছে যাবে এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে দ্বন্দ্বও তৈরি হয়। কেবল জামায়াত নয়, দলটির সে সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘও একই কায়দায় মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি খুনি বাহিনী গড়ে তুলেছিল, যার নাম আলবদর। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বুদ্ধিজীবী হত্যায় এই বাহিনীই জড়িত ছিল বলে অভিযোগ আছে। ইসলামী ছাত্রসংঘের সে সময়ের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। আর বুদ্ধিজীবী হত্যায় ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি’র দায়েই মুজাহিদের ফাঁসির দ- দিয়েছে আপিল বিভাগ।
জানতে চাইলে ইতিহাসবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এই সময়কে বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণের অভাবে সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার আটকে থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নথিপত্রে তো এসব প্রমাণ আছেই। ওই সময় পত্র-পত্রিকায় ছাপা হওয়া ছবি ও খবর তো আছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে, অনেক তথ্য-প্রমাণ দুর্লভ হয়ে গেছে। তবে যেটুকু আছে, তা জামায়াতের বিচার করার জন্য যথেষ্ট।’
গোয়েন্দা নজরদারিতে জামায়াত-শিবিরের কয়েক শ প্রতিষ্ঠান : নাশকতার ছক কষা হয় জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে বসে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৫৬১টি প্রতিষ্ঠান গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে আর্থিক, সেবামূলক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমিতি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশের জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এসব ঘটনার পরিকল্পনা ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন অপপ্রচার ছড়ানো হয় বলে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের আলোকে ৫৬১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর জারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের কাছে পাঠানো আদেশে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নজরদারির আওতায় আনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, মনোরমা, রেনেসাঁ, ইসলামী ব্যাংক ক্রাফট অ্যান্ড ফ্যাশন, ইসলামী ব্যাংক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ইসলামী ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইসলামী ব্যাংক ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড ডিজ্যাবল রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার, রেটিনা, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার, কোরাল রিফ, মিশন ডেভেলপারস, কেয়ারি, ইনটিমেট হাউজিং, সোনারগাঁও হাউজিং, কেয়ারি গ্রুপ, কেয়ারি প্লাজা, কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, বিডি ফুড, ইয়ূথ গ্রুপ, মিশন গ্রুপ, আল-হামরা শপিং সেন্টার, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ইসলামী ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, তাকাফুল ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, অনাবিল, সৌদিয়া, আবাবিল, ছালছাবিল, ফুয়াদ আল খতিব মেডিকেল ট্রাস্ট, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, সিএনসি, ফুলকুঁড়ি, স্পন্দন, ফোকাস, কংক্রিট, কনসেপ্ট, অ্যাক্সিলেন্ট, ওমেকা, অপটিমামসহ ৫৬১ প্রতিষ্ঠানের নাম।