নর্থইস্ট হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু নিয়ে হট্টগোল

40

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার নর্থইস্ট হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, ৫/৬ ঘন্টা আগেই রোগী মারা গেলেও তাদের কিছু জানানো হয়নি। উল্টো রোগী ভালো আছেন জানিয়ে বিলের টাকা নিয়ে তাদের হাতে লাশ তুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়, শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নাজমা বেগমকে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নর্থ ইস্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। হাসপাতালে ভর্তির পরই তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডা. আব্দুল জলিলের অধীনে চিকিৎসা চলে নাজমার।
নাজমা বেগমের ছোটবোনের স্বামী আইন উদ্দিন অভিযোগ করেন, আইসিইউতে নেওয়ার পর রোগীর সাথে আমাদের আর দেখা করতে দেওয়া হয়নি। রোগী ভালো আছেন বলে আমাদের বারবার জানানো হয়।
আইন উদ্দিন বলেন, রবিবার দুপুরে হাসপাতালের কর্তব্যরতরা জানান, আজকে রোগী ছাড়ে দিব। সকল বিল পরিশোধ করার জন্য। তাদের কথা মতো বিকেল ৪টায় আমরা সব টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু ৫টার দিকে আমাদের কাছে নাজমা বেগমের লাশ তুলে দেওয়া হয়।
নাজমা বেগমের ভাই খসরু বলেন- ডাক্তাররা সকাল থেকে আমাদের বলছেন রোগী ভাল আছে। আমরা দেখা করতে চাইলে আইসিইউ রুমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। টাকা দেয়ার ৫ মিনিট আগেও বলেছে- রোগী ভালো আছে। অথচ টাকা জমা দেওয়ার পর বোনের লাশ তুলে দেওয়া হলো।
এদিকে, নাজমা বেগমের মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসপাতালে উপস্থিত তার স্বজনরা। এ সময় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে হট্টগোল দেখা দেয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন তেতলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজমল হোসেন। তিনি নিহতের স্বজনদের নিবৃত্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালান।
এ ব্যাপারে আজমল হোসেন বলেন, রোগী ৫/৬ ঘন্টা আগেই মারা গেছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় নি। সব টাকা পাওয়ার পর লাশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি রোগির স্বজনদের নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বসেছি। তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে নর্থইস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নর্থ ইস্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালের কর্তব্যরতদের কেউ কথা বলতে রাজী হননি।