ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা ;
ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে অজ্ঞাতনামা দেড়শ জনকে অভিযুক্ত করে ওসমানীনগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা নং-২। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার তাজপুর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্র“প সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তাজপুর বাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। জনশূন্য হয়ে পড়ে তাজপুর বাজার। ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদ উল্যা মামলা দায়েরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত আছে। প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরের দিকে তাজপুর ডিগ্রী কলেজের ভিতরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক চঞ্চল পালের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী হাম্মাদ আল হাসান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনা মিয়ার অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মঞ্জুর আহমদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারমুখী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানার পুলিশ তাজপুর বাজারে অবস্থান নেয়। কলেজের ঘটনার জের ধরে বিকেলে তাজপুর বাজারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দাল মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনা মিয়া অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক চঞ্চল পাল অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।