কাজিরবাজার ডেস্ক :
সমাজবিরোধী কাজ থেকে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে সরকার তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাবের সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। র্যাবের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সমাজবিরোধী কাজ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলে সরকার তাদের সার্বিক সহায়তা করবে। পাশাপাশি অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষায় সজাগ থাকার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা প্রকৃত অন্যায়কারী তারা যেই হোক তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবে এসব করতে গিয়ে অযথা কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
‘বাংলাদেশের মানুষের জীবন যেন শান্তিপূর্ণ হয়, তারা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের জনগণের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
দেশের মানুষের উন্নত জীবন গড়তে সরকার কাজ করছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, শুধু শহর নয়, তৃণমূলের মানুষের সুন্দর জীবন গড়তেও ব্যস্ত সরকার।
‘মানুষের জীবন উন্নত হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে তুলনামূলক। আমরা এখন একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশে বাস করছি।’
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকরা রাখায় র্যাবের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, র্যাবের সক্রিয়তার কারণে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় র্যাব যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, সে কারণে দেশের মানুষ তাদের সম্মানের চোখে দেখেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা বিশ্বে প্রশংসিত। আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছি। একইসঙ্গে মাদক নির্মূলেও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর থাকায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ শান্তিতে ভোট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করেছিল। তারা সাধারণ জনগণকে পুড়িয়ে মেরেছিল। এবারের নির্বাচনে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। যার কারণে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।’
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে সক্ষমতা দেখানোয় র্যাব সদস্যদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান সরকারপ্রধান। তিনি বাহিনীটির অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।