গোলাপগঞ্জে খুন হওয়া ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, চাচাতো ভাইসহ আটক ২

77

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
গোলাপগঞ্জে তোফায়েল আহমদ দিপু (১৯) নামে এক টেলিকম ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে দীঘির পার থেকে দিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছি সেখানে দুটি গাছে খোদাই করে লেখা ছিল ইমন ও দিপুর নাম। পুলিশের ধারণা ৫/৬ মাস পূর্বে এই দুটি নাম খোদাই করে গাছে লেখা হয়েছে। পুলিশ সবকিছুর মোটিভও উদ্ধার করেছে। পরিবারের একমাত্র ছেলে ছিল দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া দিপু। তাকে রাতের কোন এক সময় পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে এমনটাই ধারণা পুলিশের। সে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির দক্ষিণ রায়গড় লেছুবাগান গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলমাছ উদ্দিন (অবুত) মিয়ার পুত্র। পুলিশ ও নিহতের মামা এমাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, খুন হওয়া দিপুর ঢাকাদক্ষিণ বাজারে টেলিকমের ব্যবসা রয়েছে। সে রবিবার প্রতিদিনের মত দোকানের উদ্দেশ্য বাড়ী থেকে বের হয়। আর বাড়ী ফিরেনি। সকালে বাড়ীর প্রায় ৫শ গজ দূরের দীঘির পারে তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক গরু রাখাল। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। খুন হওয়া দিপুর মাথার বিভিন্ন অংশে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাড়ির পাশেই পড়েছিল তার দোকানের ব্যাগ আর লাশ ছিলো প্রায় ৫শত গজ দূরে। এ ঘটনায় দিপুর আপন চাচাতো ভাই অনিক আহমদ (২২) ও একই গ্রামের দিপুর বন্ধু লায়েক আহমদ (২৩) কে সন্দেহজনক ভাবে আটক করেছে পুলিশ। এ নির্মম ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নিহতের মা ছালমা বেগম বার বার বিলাপ করছেন। মায়ের এমন কান্নায় আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে উঠছে। স্বজনরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খুনের কোন কারণ জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে আটককৃতদের কাছ থেকে খুনের রহস্য বের হতে পারে তাই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটককৃতরা নিহত দিপুর খুব কাছের বন্ধু ছিল। নিহতের মামা এমাদুল আরো জানান, অনিক পুলিশকে জানিয়েছে রবিবার সাড়ে ১১টায় দিপুকে বাড়ীর রাস্তায় রাত দিয়ে যায় তারা দুই বন্ধু আর কিছু বলতে পারে না। নিহতের চাচা আজমল হোসেন (৪০) জানান, প্রতিদিনের মত তোফায়েল ঢাকাদক্ষিণ বাজারের নিজ ব্যবসাস্থল থেকে ব্যবসা বাণিজ্য শেষ করে বাড়ী না ফিরলে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। এতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে পরিবার পরিজন বিভিন্নস্থানে যোগাযোগ করে কোথাও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন খুন হওয়া দিপুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলেই খুনের আরো কিছু জানা যাবে।