স্টাফ রিপোর্টার :
ঈদের কেনাকাটাকে নির্বিঘœ ও নিরাপদ রাখতে নগরী জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া নগরীর বিপণী বিতান, গুরুত্বপূর্ণ মোড় আর সড়কগুলো বসানো হয়েছে বিশেষ টহল। প্রতিটি বিপণী বিতানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এর পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে বাড়তি পুলিশ সদস্য।
চুরি-ছিনতাই ঠেকানোর পাশাপাশি নরগবাসী যেন নির্বিঘেœ কেনাকাটা করতে পারেন সে জন্য বিপণী বিতানগুলোতে দেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। নারীদের যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয় এজন্য সকল বিপণী বিতানেই রয়েছেন নারী পুলিশ সদস্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে বলে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ সদস্যই মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
র্যাব-৯ সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। এছাড়াও রয়েছে রয়াবের স্পেশাল টহল ব্যবস্থা। ঈদ মার্কেটের কেনাকাটা ও নগরবাসীর ঘরে ফেরা নিরাপদ করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে র্যাবের নিয়মিত টহলদলের পাশাপাশি অতিরিক্ত র্যাব সদস্যরা মাঠে নেমেছেন এবং নজরদারি শুরু করেছেন। ঈদকে সামনে রেখে ও ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘেœ করতে নগরীর সকল মার্কেট ও শপিংমল কেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। রয়েছে মোটর সাইকেল টহলদলও। তিনি আরো জানান, অফিসারসহ সব মিলিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের ১শ’ জন র্যাব সদস্য ঈদের আগের চাঁদ রাত পর্যন্ত নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকছেন। এছাড়াও ঈদের জামাতগুলোতে থাকছে সাদা পোশাকের র্যাব। তিনি বলেন, ঈদ এলেই নগরীতে সক্রিয় হয়ে উঠে ছিনতাইকারী চক্রসহ অন্য অপরাধীরা। ছিনতাইয়ের শিকার হন কেনাকাটা করতে বের হওয়া সাধারণ ক্রেতারা। এবার এমন পরিস্থিতি এড়াতে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতায় এসএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় হিসেবে মার্কেট ও শপিংমলের প্রতিটি অংশ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ঈদ কেনাকাটায় বড় অঙ্কের টাকা আনা-নেয়ার জন্য রয়েছে পুলিশের মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা। মার্কেটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক পাহারায় নারী পুলিশের বিশেষ দল থাকছে উল্লেখ করে মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, মার্কেটে ইভটিজিং প্রতিরোধে কাজ করছে বিশেষ ইউনিট। মার্কেটের সামনে যানজট এড়াতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে কমিউনিটি পুলিশ ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক দল। তিনি বলেন, রাতে ঈদ কেনাকাটার পর নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে রয়েছে টহল পুলিশের একাধিক দল। শপিংমলের অধিক জনসমাগমস্থলে পকেটমার, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান-মলম পার্টি প্রতিরোধে ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে সাদা পোশাকের পুলিশ। ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন আর ক্রেতারা নির্বিঘেœ কেনাকাটা করতে পারেন সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বড় বড় ফ্যাশন হাউস ও মার্কেটগুলোর সামনে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত রয়েছে।