কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশিবাজারে বিশেষ জজ আদালতে হাজির হন। গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে গত বুধবার দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন নেন তিনি।
এর পর দুপুর ১২টা ১৫ থেকে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত আদালতে বক্তব্য দেন বেগম জিয়া। তার বক্তব্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী বক্তব্যের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।
বেগম জিয়া তার বক্তব্যে প্রধানন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ছিল এমন মন্তব্য করে বলেন, ক্ষমতায় আসার পর সেই মামলাগুলো একে একে প্রত্যাহার ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, শাসক দলের মন্ত্রীরা বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। মাননীয় আদালত, আমি কার কাছে যাব? আমি আদালতের প্রতি বিশ্বাস রাখতে চাই।
বিচারককে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তা বিচারিক আদালতে পরিচালনা হচ্ছে। আমার জন্য বিশেষ আদালত আলিয়া মাদরাসায় স্থাপন করা হয়েছে। আমার বিচার কেন আলিয়া মাদরাসায় করা হবে? আমার বেলায় কেন এ ব্যতিক্রম হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় আদালত আপনি কোথায় বসে এ মামলার বিচার পরিচালনা করছেন।
কোথায় স্থাপন করা হয়েছে আপনার স্থান। এটা কি বিচারের কোনো প্রাঙ্গণ। কোর্ট-কাচারি এলাকায় আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বিশেষ আদালত বসেছে আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে। মাদরাসা প্রাঙ্গণের সঙ্গে বিচার ও কোর্ট-কাচারির কোনো সম্পর্ক আছে কি?
এদিন বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন চান তিনি। আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়া উদ্দিন জিয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তিনি ১টা ২০ মিনিটে আদালত ত্যাগ করেন।