দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সরকারি চাল নির্দিষ্ট বিক্রয় পয়েন্টে বিক্রয়ের কথা থাকলেও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের খুদিরাই-রসনী ওয়ার্ডে বিশেষ ওএমএস ও ভিজিএফ চাল গোদাম থেকে পাচার করে বিক্রয় করা হচ্ছে খোলা বাজারে। যেখান থেকে ন্যায্য দামে কিনবেন স্বল্প আয়ের মানুষ। কিন্তু সেই চাল গুদাম থেকে বের হয়ে যাচ্ছে চোরাই পথে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার,সকাল ৯টায় খুদিরাই গ্রামের আলতাব আলীর বসত বাড়ীতে অস্থায়ী খাদ্য গোদাম থেকে ডিলার সুনু মিয়ার যোগসাজসে কতিপয় চোরাই চাল সিন্ডিকেট চক্রের হোতা চুড়খাই গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে এনামুল হক ও খুদিরাই গ্রামের মৃত হাজী আসিদ আলীর ছেলে শাহীনুর রহমান দামোধরতপী বাজার এলাকার আলাল মিয়া অটো রাইছ মিলের ভিতরে সরকারি ১২ বস্তা চাল নিয়ে যায় এবং এবং সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে নতুন বস্তায় ভর্তি করার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী সরকারি চাল পাচারের বিষয়টি বুঝতে পেরে মিলটি ঘেরাও করেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি বুঝতে পেরে এলামুল হক ও শাহীনুর রহমান পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় দামোধরতপী গ্রামের আব্দুন নুর এর ছেলে এম এ কাসেম,মৃত ইসরাইল আলীর ছেলে রফিক উদ্দিন আরিফ, রাজা মিয়ার ছেলে কয়েছ মিয়া, ডিগারকান্দি গ্রামের আরজক আলী ছেলে ফয়জুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য আজির উদ্দিন সহ এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ট্যাগ অফিসার নুরে আলম সিদ্দিক, থানা পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম, এসআই ফারুক আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারি বস্তা ও চাল দেখে সরকারি চাল হিসাবে নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে ডিলার সুনু মিয়ার নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান যে, আমার গোদামে থাকা চাল সঠিক আছে। আমি এই বিষয়ে জানি না।
উপজেলা খাদ্য অফিসার রুমেনা আফরোজ জানান, সরকারি চাল আটকের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ প্রশাসন চালগুলি জব্দ করে। সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হারুন অর রশীদ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসনকে পাঠিয়েছি। দোষী যেই ব্যক্তি হউক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।