স্টাফ রিপোর্টার :
নরীর টিলাগড় এলাকা থেকে রোহিঙ্গা সন্দেহে এক যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। কিন্তু পরে শাহপরাণ থানায় তাকে নিয়ে যাওয়ার পর বেরিয়ে আসে সে আসলে রোহিঙ্গা নয়। তার বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপাড়ের বিছনাকান্দি সংলগ্ন আসামপাড়া গ্রামে। কয়েস মিয়া নামের (৩০) ওই যুবক আসামপাড়ার সাহেব আলীর পুত্র।
এর আগে গতকাল বিকালে নগরীর টিলাগড় এলাকা থেকে তাকে রোহিঙ্গা সন্দেহে তাকে আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় সে রোহিঙ্গাদের মতো কথা বলেছিল। আসামের ভাষায় সে কথা বলতে সক্ষম। মানুষকে বোকা বানাতেই সে তখন আসামের ভাষায় কথা বলেছিল। আর এ রকম অসংলগ্ন আচরণের কারণে স্থানীয়রা তাকে রোহিঙ্গা ভেবে পুলিশে সোপর্দ করে দেন। শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য তাকে চিনতে পারেন।
সুজন আহমদ নামের ওই পুলিশ সদস্য জানান- আটক যুবক কয়েস মিয়াকে তিনি আগে থেকেই চিনেন। তারা একই এলাকার। কয়েসের ভাইয়ের সাথে পড়ালেখাও করেছেন তিনি। পুলিশ সদস্য সুজন বলেন- কয়েস মিয়ার মানসিক সমস্যা রয়েছে। সে প্রায় সময়ই এরকম উল্টাপাল্টা আচরণ করে থাকে।
কয়েস আহমদ বলেন- আমার মাথাত মাঝেমাঝে খুব সমস্যা করে স্যার। আমি কুন্তা কইতাম ফারি না খেনে যে ইতা খরে।
শাহপরাণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন- টুলটিকর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সায়েম আহমদ রোহিঙ্গা সন্দেহে তাকে আটক করেন। পরে স্থানীয়রা আমাদের কাছে তুলে দেন। থানায় আনার পর সে জানায় তার বাড়ি গোয়াইনঘাটে। সে রোহিঙ্গা নয়। এখন তাকে আমরা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছি। যোগাযোগ করা হয়েছে।