মেয়র ও উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান

23

স্টাফ রিপোর্টার :
রাস্তা প্রশস্ত করা নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হলরুমে এক বৈঠকে সৃষ্ট ঘটনার অবসান হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির নিরসন করে রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য উভয়ে সম্মত হন।
বৈঠকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও সিটি কাউন্সিলর রাজিক মিয়া, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, আব্দুল মুহিত জাবেদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন-হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান বশির আহমদ, ডা. মোদাব্বির হোসেন, পরিচালক ফখরুল ইসলাম, এন আই খান ও ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
গত সোমবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে নগরীর রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে সিলেট ইউমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শাহ আব্দুল আহাদকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ ওঠে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র সিসিক আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এদিন সন্ধ্যায় প্রেসব্রিফিং করে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে মেয়র আরিফ বলেন, নগর উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে বদনাম রটানো হচ্ছে।  রাত ১০টায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ওই হাসপাতালে রোগী দেখতে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে বৈঠকে বসে ঘটনার নিষ্পত্তি টানেন।
এদিকে, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সোমবারের ঘটনাকে অনাকাংক্ষিত ঘটনা উল্লেখ করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন. ‘বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ হওয়ার প্রেক্ষিতে’ গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে।
বিবৃততে তিনি বলেন, সিলেটের চিকিৎসক সমাজের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। কারণ আমার জীবন সংকটাপন্ন থাকা অবস্থায় সেই দুঃসময়ে তারা যেভাবে আমাকে সহানুভূতি দেখিয়েছেন তা আমি ও আমার পরিবার কোনদিন ভুলব না। মেয়র বলেন, উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ভুল বুঝাবুঝির পরপর তাৎক্ষণিকভাবে আমি সেখানে গিয়েছি এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ঘটনার সুন্দর সমাধান করেছি। নগরবাসীর প্রতিটি কাজে সবাইকে সংযমী ও ধৈর্যশীল থাকার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, হাসপাতালের এমডি ডা. আব্দুল আহাদকেও আমি সরেজমিন গিয়ে দেখেছি। এই অনিচ্ছাকৃত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত । মেয়র বলেন, সৌহার্দ্যরে বন্ধন সিলেটের অতীত ঐতিহ্য। আমি ডা. আব্দুল আহাদকে দেখতে গিয়ে একান্ত আলাপচারিতায় সেই সৌহার্দ্যরে বিষয়টি তুলে ধরেছি এবং বলেছি ঘটনার আকস্মিকতায় সংঘটিত ঘটনা যাতে মন থেকে মুছে ফেলে সম্মিলিতভাবে সিলেটের উন্নয়নে কাজ করতে। এই অনিচ্ছাকৃত ঘটনার সমাধান করতে গিয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতিও ধন্যবাদ জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মহানগরীর সকলের সহযোগিতায় সিলেট মহানগরীর উন্নয়ন আরও বেগবান হবে এমনটাই প্রত্যাশা মেয়রের।