কাজিরবাজার ডেস্ক :
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়ে তাকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট সচেতন।’
শনিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন এসব বিষোদগার করে তাদের নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। তাই তারা এসব কথা বলছে, তাদের আর কোনো ইস্যু নেই।’
গত বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানার পুলিশ হাসপাতালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে বোমাসদৃশ একটি বোতল উদ্ধার করে। এই হাসপাতালেরই আরেকটি ভবন কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কক্ষে কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয়প্রধানের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি করেন।
এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এরকম দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতেই পারে। আজ সন্ত্রাসবাদ একটা আন্তর্জাতিক সমস্যা। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দেশ নয়। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দাও আমরা নই। এসব ঘটনা হতে পারে। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো ঘটনা বাংলাদেশে এখনো ঘটেনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের তৎপরতা রয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকই ভেবেছিলেন ঈদের সময় কোনো ঘটনা ঘটবে। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কোনো ঘটনা ঘটেনি। দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা সতর্ক আছি, তবে শঙ্কিত নই।’
‘বিদেশিদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে সরকার’-বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে পঁচাত্তর পরবর্তীকালে দেশের ভাবমূর্তি এত উজ্বল, এত সমুজ্জল আর কোনো সময় হয়নি। বিদেশে গিয়ে দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যাবেন শেখ হাসিনা এমন নেত্রী নন। যাদের আমলে দুর্নীতির হ্যাটট্রিক হয়েছে তাদের মুখে এমন কথা মানায় না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী ২৩ জুন আমাদের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উদযাপন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ২৩ জুন সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি কালারফুল করতে চাই। সীমিত আকারে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হবে।