স্টাফ রিপোর্টার :
জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ হারুনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ করেছেন নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ ইমন টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্সের প্রোপ্রাইটর ফুলনেহার বেগম। গতকাল সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্বামী জগন্নাথপুর উপজেলার সাদীপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনু আলী মিয়ার দেশের বিভিন্ন ব্যবসা তিনি দেখাশুনা করছেন। নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় সুরমা ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল আজিজ হারুনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সাথে ব্যবসায়ীক সুবাধে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে ওই দম্পত্তির সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হলে মনোয়ারা তাকে প্রস্তাব করেন তার স্বামী হারুনের কন্ট্রাক্টরী ব্যবসায় পার্টনার হওয়ার। ব্যবসার কাগজপত্র দেখে তিনি বিশ্বাস করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ঋণ হিসেবে কয়েকদফায় হারুন ২৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা নেন। বিনিময়ে ৪টি চেক প্রদান করেন হারুন। এছাড়া ১৫ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় তার একটি ল্যাগুনা গাড়ি হারুন নেন। এর কিছুদিন পর হারুনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তার ভাইয়ের ছেলের বিয়ের দাওাত দেন এবং যেতে অনুরোধ করেন। তিনি যেতে পারবেন না বলে জানালে মনোয়ারা তার কাছে গহনা চান। বিয়ের পর পরই গহনা ফেরত দেবেন বলায় তিনি সরল বিশ্বাসে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার গহনা মনোয়ারাকে দেন। বিয়ের দুদিন পর মনোয়ারাকে স্বর্ণের কথা বললে বাসায় এনে দিবে বলে জানায়। এরপরও গহনা নিয়ে বাসায় না আসলে তিনি তাদের নবারুন ১৩১/১ সোনাপাড়াস্থ বাসায় যান। বাসায় গেলে মনোয়ারা, স্বামী হারুন, ছেলে ছাদেক আজিজ, তারেক আজিজ, শায়েখ আজিজ মিলে তাকে বলেন, স্বর্ণগুলো গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জে রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এনে দেবেন। এক সপ্তাহ পর তার ল্যাগুনা চালক লালন আহমদ জানায়, হারুন বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তখন তিনি তাদের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হন এবং তাদেরকে বলেন, ভাড়া বাসায় থেকে বাসাটি তোমাদের নিজস্ব বলেছিলে। এসময় তিনি তার গহনা ও গাড়ি ফেরত চাইলে তার উপর হামলা চালানো হয়। আশপাশের মানুষের সহযোগিতায় তিনি সেখান থেকে এসে আইনের আশ্রয় নেন।
তিনি আরো বলেন, আব্দুল আজিজ হারুন সম্পর্কে তিনি জানতে পেরেছেন অনেকের কাছ থেকেই চেক দিয়ে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তার দায়ের করা মামলাসহ হারুনের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে হারুন প্রতারণা মামলায় জেল হাজতে রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ফুলনেহার বেগম আব্দুল আজিজ হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।