সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ বিশ্বনাথে প্রভাবশালী মহল কর্তৃক প্রবাসীকে বাড়ি ছাড়া করে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

34

স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ্বনাথে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে বাড়ি ছাড়া করে প্রায় ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি কুক্ষিগত করে রেখেছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রাণের ভয়ে প্রবাসী ও তার স্বজনেরা বাড়িঘর ছেেেড় দু’মাস থেকে অন্যত্র বসবাস করছেন। পুলিশি সহায়তা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন ওই প্রবাসী। গতকাল শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটা অভিযোগ করেন খাজাঞ্চিগাঁও ইউনিয়নের মিরগাঁও গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল নূর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পৈত্রিকভাবে তিনি যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ড শহরে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি আইন পেশার সাথে জড়িত। গ্রামের বাড়িতে প্রায় ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এসব দেখাশুনা করেন দেশে থাকা তার একমাত্র বোন শরিফা খাতুন। তিনি বলেন, পারিবারিক ঐতিহ্য হিসেবে দেশ ও সমাজের কল্যাণে নিজের গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের দরিদ্র মানুষদের সহযোগিতা করেন। তিনি বাড়িতে না থাকায় সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল বারির ছেলে শাইস্তা, মসদ্দর আলীর ছেলে ফারুকসহ একটি চক্রের। গত জানুয়ারিতে দেশে আসলে শাইস্তা, ফারুক, উমরাহ মিয়ার পুত্র আবু তাহের নজির, মনির মিয়ার পুত্র আখতার মিয়া, বশির মিয়ার পুত্র লিলু মিয়াসহ এ চক্র তার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। নিরুপায় হয়ে এদের মধ্যে আবু তাহের নজিরকে চেকের মাধ্যমে তিনি ৬০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু এতে তারা শান্ত না হয়ে আরো টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় গত ২৩ ও ২৪ মে তারা বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সাথে সাথে বিশ্বনাথ থানায় ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। পরে এ ব্যাপারে মামলা দিতে চাইলে থানার ওসি মামলা না নিয়ে বিষয়টি আপোষ করার জন্য চাপ দেন।
তিনি বলেন, এই অপকর্ম ঢাকতে ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে তার বিরুদ্ধে মসজিদে তালা দেয়ার অপপ্রচার চালিয়ে নাস্তিক আখ্যায়িত করে এলাকায় মানববন্ধন করে এ চক্র। তারা ২৬ মে অপপ্রচার চালায় এক সপ্তাহ থেকে মসজিদে তালা মারা রয়েছে। অথচ ২৪ ও ২৫ মে তিনি মসজিদে বিদ্যুৎ না থাকায় মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ পড়তে অসুবিধা হওয়ায় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে বিদ্যুৎ অফিসের লোক পাটিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করেন। তিনি কখনও মসজিদে তালা দেননি উল্লেখ করে বলেন, শুধুমাত্র তাকে হেনস্থার মধ্য দিয়ে বাড়িছাড়া করে সম্পত্তি গ্রাস করতে এই কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে তারা। তিনি বলেন, এ মসজিদ তার অনুদানে নির্মিত এবং গ্রামের মাদরাসায়ও অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া নিজ গ্রামসহ অন্যান্য গ্রামে ১২টি হতদরিদ্র পরিবারকে পাকাঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই চক্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ও কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এছাড়াও শাইস্তা ও ফারুকের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলাসহ অনেক মামলা রয়েছে।