এনআইডি উইংয়ের দায়িত্ব হারাতে পারে নির্বাচন কমিশন

48

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সব বয়সী নাগরিকের তথ্য পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অংশীদারিত্বের দাবির যৌক্তিকতা পায়নি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটি। তবে নাগরিকদের পরিচয়পত্রের গুরুত্বপূর্ণ এই কাজটির দায়িত্ব মন্ত্রী পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসকে (সিআরভিএস) দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে এনআইডি উইংয়ের দায়িত্ব হারাতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবু অনেকটা নীরব ভূমিকায় রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে নিজেদের অংশের দায়িত্ব চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মতামত চাওয়া হয়। পরে মতামত তৈরির জন্য অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ) সোলতান আহ্মদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। গঠিত এই কমিটি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাদের মতামত দিয়েছে। মতামতে কমিটি সংবিধান ও আইনের যুক্তি তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে এবং সিআরভিএসের অধীনে নাগরিকদের তথ্যভাণ্ডার সংরক্ষণ সংক্রান্ত পৃথক একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সিআরভিএসের মাধ্যমে কাজটি করা সম্ভব হলে অর্থ সাশ্রয় হবে বলেও মতামতে উল্লেখ করেছে কমিটি।
মতামতে যা বলেছে মন্ত্রী পরিষদ কমিটি
কমিটির মতামতে বলা হয়, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থেকে সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। নাগরিকের ঠিকানা, জন্ম, মৃত্যুসহ অন্য তথ্যাদির বিষয়ে এই বিভাগ (মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ) সিআরভিএস কার্যক্রম পরিচালনা করে। জাতীয় পরিচয়পত্রও এক ধরনের সিভিল রেজিস্ট্রেশন। সুতরাং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য সিভিল রেজিস্ট্রেশনের সব কার্যক্রম নির্বাহী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিদ্যমান আইন, নীতি ও বিধি সংশোধনক্রমে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অধীনে একটি কর্তৃপক্ষের আওতায় ন্যস্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।’
এতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ আরও বলেছে, ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন তথ্যভাণ্ডার নাগরিকদের পরিচয়পত্র প্রস্তুতসহ ১২৭টি চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহায়তা প্রদান করছে। এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ২২ ধরনের সেবা দেয়া হয়, যার বেশিরভাগই নির্বাহী ধরনের। ভবিষ্যতে এর কর্মপরিধি আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম আরও নিরাপদ ও জনবান্ধব করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।’
সাংবিধানিক ও আইনগত বিধান উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের ১১৯(১)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদের এবং সংসদ সদস্য পদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ৫(১) ধারায় কম্পিউটারভিত্তিক ডাটাবেজ সহযোগে ভোটারদের নিবন্ধনের পর ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা যাবে মর্মে বিধান রয়েছে। সংবিধানের ১১৯ (১) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সংবিধান বা অন্য কোনো আইনের মাধ্যমে ওই দায়িত্বসমূহের অতিরিক্ত কমিশনকে প্রদান করা যায়।’
‘এছাড়া সংবিধানের ১১৯(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংবিধান ও আইন দ্বারা অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলে সেসব দায়িত্বও পালন করবে নির্বাচন কমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০’ বলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে নির্বাচন কমিশন। ‘ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন। ২০০৪ সালে প্রণীত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল নাগরিকদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করছেন।’
সার্বিক পর্যালোচনায় মন্ত্রী পরিষদের কমিটি বলছে, নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন, পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম আইনানুগভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হলেও এনআইডি নিবন্ধন নির্বাহী ধরনের কাজ। ভোটার শনাক্তকরণের কাজে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো নির্বাচন কমিশনও এনআইডি ব্যবহার করে। এনআইডির বিষয়টি সার্বজনীন, অন্যদিকে ভোটার তালিকার বিষয়টি শুধু ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য ও নির্বাচনের উদ্দেশ্যে প্রণীত। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম সরকারের অধীন উপযুক্ত কোনো সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে হওয়া অধিকতর সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। তবে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হওয়া কাজটি দীর্ঘদিন পরিচালিত হওয়ায় একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জনবল, সার্ভার স্টেশনসহ অনেক কিছু নির্মাণ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে বেশ অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছে। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো সরকারি সংস্থা এনআইডি ডাটাবেস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে। তাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মনে করে, আকস্মিকভাবে এই কার্যক্রম অন্য কারও হাতে যাওয়া উচিত নয়।
যেভাবে কাজ করবে সিআরভিএস
একটি একক আইডি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিককেই চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধিত করা (সিভিল রেজিস্ট্রি) এবং তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান (ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস) তৈরি করার নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়াই হলো সিআরভিএস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের কার্যপরিধির মধ্যে ‘সিটিজেনশিপ’ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এনআইডির কার্যক্রম শুধু নাগরিকত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এতে জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, তালাক ইত্যাদি সমন্বয়ে ইউনিক আইডি প্রদানের মাধ্যমে এর সর্বোচ্চ উপযোগিতা গ্রহণের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে বা সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস নামে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত সিভিল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে দ্বৈততা, অসামঞ্জস্য এবং কখনো কখনো বৈপরীত্য পরিহারের লক্ষ্যে ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রেশন (এনপিআর) প্রণয়নের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সাল থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি সমন্বিত কার্যকর সিআরভিএস ব্যবস্থা গড়ার নিমিত্তে কাজ করছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, জন্ম, মৃত্যু, মৃত্যুর কারণ, বিবাহ, তালাক ও দত্তক এই ছয়টি বিষয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিআরভিএসের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশে এই ছয়টি বিষয়সহ মাইগ্রেশন, শিক্ষা ও সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমন্বিত সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন আইডি ব্যবস্থা, যেমন জন্মনিবন্ধন (বার্থ রেজিস্ট্রেশন নম্বর-বিআরএন), শিক্ষা ব্যবস্থায় স্টুডেন্ট আইডি (এসআইডি), জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ সব আইডি সমন্বয়ের মাধ্যমে একক বা ইউনিক একটি আইডি প্রদানের কার্যক্রম চলমান।
একই ধরনের সিভিল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সরকারের বিভিন্ন দফতরের দায়িত্বে রয়েছে। যেমন- নির্বাচন কমিশন এনআইডি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের কাজ করছে। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সিভিল রেজিস্ট্রেশনের অংশ হিসেবে এসব কার্যক্রম সমন্বয় করছে। এ কারণে প্রতিটি দফতরে বারবার একই তথ্য সংগ্রহ করে সময় ও সরকারি অর্থের অপচয় না করে সিআরভিএসের উদ্যোগ ভালো ফল দেবে।
এ বিষয়ে জানতে মন্ত্রিপরিষদের গঠিত কমিটির প্রধান সোলতান আহ্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে গত সপ্তাহে এনআইডি সেবা অব্যাহত রাখার জন্য ইসি ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক হাজার ৮০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এনআইডি প্রকল্পটি মূলত ভোটারদের পরিচয়পত্র তৈরিসহ নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছিল। প্রকল্পটি মূলত স্থায়ী রূপ দেয়ার উদ্দেশ্যেই করা। কারণ এ সার্ভিসটি বন্ধ করা যাবে না। ফলে প্রকল্পটি নতুনভাবে শুরু হলেও সেটি যাদের দায়িত্বে থাকবে তারাই পরিচালনা করবেন।
এনআইডি ইস্যুতে নীরব নির্বাচন কমিশন
এনআইডির দায়িত্ব হারানোর বিষয়ে অনেকটাই নীরব ভূমিকায় নির্বাচন কমিশন। আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য না পেলে এ বিষয়ে আপতত নীরব থাকার পক্ষে ইসি সচিবালয়।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি কার্যক্রম ইসির হাতে থাকছে কি থাকছে না, সে বিষয়ে কমিশন এখন নীরব। আনুষ্ঠানিক কাগজ না পেলে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া সম্ভব নয়। কমিশন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখে যতটুকু জেনেছে, এর বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সংস্থা বা বিভাগ যোগাযোগ করেনি। ফলে এ বিষয়ে কোনো মতামত দেয়ার সুযোগ নেই কমিশনের। এ ধরনের বিষয়ে আসলে কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে, সেটি নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রকম কোনো তথ্য হাতে পাইনি বা কোনো রকম কাগজপত্র দেখিনি, পাইনি। তাই এখানে কী আছে না আছে সেটা না জেনে আমার কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। একটা কাজ অনেক স্তরে অনেকভাবে হয়। যেমন- জন্মনিবন্ধন, আমরা কিন্তু এনআইডি কার্ড বা ভোটার তালিকায় জন্মতারিখ লিখি। ১৮ বছর না হলে ভোটার করি না। সেটা তো স্থানীয় সরকার জন্মনিবন্ধন করে; তাই তাদের ওপর নির্ভর করে। এখানে কী ম্যাকানিজম আছে, কীভাবে এটাকে নিয়ে কি ওয়ার্কআউট করছে সেটা না জেনে মন্তব্য করা যায় না।’
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রথমত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে এসব তথ্য চাচ্ছে সেটাই তো সন্দেহ তৈরি করে। আমি মনে করি না এটা সরকারকে দেয়া উচিত। এটা আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার। দুর্ভাগ্যবশত এটা মন্ত্রিপরিষদ বা যেখানেই যাক এটা হলে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন রকম মানুষকে নজরদারিতে রাখা হবে। এটার সুযোগ দেয়া হলে সরকারকে আরেকটি হাতিয়ার দেয়া হবে। আমি মনে করি না এটা সরকারের হাতে দেয়া উচিত।’
নির্বাচন কমিশনের নীরব ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন হলো অনুগত। কমিশন দুর্ভাগ্যবশত জনগণের জন্য কাজ করে না। এটাই হলো সমস্যা। জনস্বার্থের জন্য কাজ না করে তারা নিজেদের স্বার্থে এবং দলীয় স্বার্থে কাজ করে, এটাই হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। এটা (ইসি) হলো আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তাদের দায়বদ্ধতা জনগণের কাছে, কিন্তু তারা সরকারের স্বার্থে এবং দলীয় স্বার্থের কাজ করে।’