ওসমানীনগরে শিক্ষকের মারপিটে শিক্ষার্থী আহত

31

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে শিক্ষিকার মারপিটে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে উপজেলার নিজ করনসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উক্ত ঘটনাটি ঘটে। আহত শিক্ষার্থী হচ্ছে বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র লিমন মিয়া (৮)। সে নিজ করনসি উত্তর পাড়া গ্রামের বশির মিয়ার পুত্র। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বিদ্যালয়ে আসা লোকজনের সাথে অশ্লীল আচরণ করে থাকেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে রবিবার জরুরী বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জ্ঞান মঞ্জুরী দেব ৩য় শ্রেণীর পাঠদান কালিন সময়ে ওই ক্লাসের শিক্ষার্থী লিমন মিয়াকে মারপিট করেন। এক পর্যায়ে লিমন শ্রেণী কক্ষে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় শিক্ষকরা  মাথায় পানি ঢেলে ও বুকের মধ্যে তেল মালিশ করলেও জ্ঞান ফিরে না আসায় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লিমনকে স্থানীয় গোয়ালাবাজারে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে লিমনের অভিভাবকরা খবর পেয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে এসে লিমনকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিদ্যালয়ে আগত লোকজনের সাথে অশ্লীল আচরণ শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সালিশ ব্যক্তিত্ব বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীর পিতা বশির মিয়া কান্না জনিত কন্ঠে জানান, শিক্ষিকার মারপিটে আমার ছেলের অজ্ঞান হওয়ার পর উনারা আমাদের না জানিয়ে মাথায় পানি ও বুকের মধ্যে তেল মালিশ করতে থাকেন। জ্ঞান ফিরে না আসায় বেকদায় পড়ে শিক্ষকরাই তাকে গোয়ালা বাজারে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসার পর বিষয়টি আমরা জানতে পারি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীকে কান ধরে উঠবস করার জন্য বললে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকৎসা করিয়েছি। এখন সে সুস্থ রয়েছে। এটা আপোষে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ধরনের হয়ে থাকলে অবশ্যই জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।