সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভায় জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী ॥ খুব শিগগিরই সিলেটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে

19

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, সিলেটে বিদ্যুতের অভাব থাকার কথা নয়। তবুও এখানে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হচ্ছে। খুব শিগগিরই এই সমস্যা চিহ্নিত করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেটে কর্মরত বিদ্যুৎ সেক্টরের কর্মকর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন।
এ সময় সভায় বক্তব্য রাখেন, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম,পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক শাহীনুল ইসলাম খান, পল্লী বিদ্যুায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী রতন সরকার, পাওয়ার গ্রীডের এমডি মাসুম আল বেরুনী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও চার জেলার ৫টি বিদ্যুৎ সমিতির জিএমসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গ্রাহক ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জবাব দেন। সম্প্রতি কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, লাইন বিপর্যস্ত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে জানিয়ে তারা বলেন, প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে দ্রুততম সময়ে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
সভায় ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল মাত্র সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাহসিকতায় এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সেক্টরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সঠিকভাবে কাজ করুন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের উপর বিশেষভাবে আস্থা রেখেছেন। আপনারা বিদ্যুতের উন্নয়নে বাস্তবসম্মত যে কোন প্রস্তাব দিলে তিনি সাথে সাথে তা গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, সিলেট বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল থাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ আরো জরুরী হয়ে উঠেছে। তাই এ উদ্যোগ যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণ করা জরুরী।