দুই বছর পর পল্টন অফিসে গেলেন খালেদা জিয়া

37

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নীরব বিপ্লব ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
ঢাকায় মির্জা আব্বাস-তাবিথ আউয়াল এবং চট্টগ্রামে এম. মনজুর আলমকে ভোট দিয়ে সরকারকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ঢাকা নোংরা হয়ে গেছে। এটিকে আবার মানুষের বসবাস উপযোগী করবো আমরা। তাই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণে মির্জা আব্বাসকে ভোট দিন আর উত্তরে তরুণ ও যোগ্য প্রার্থী তাবিথকে ভোট দিন। এছাড়া চট্টগ্রামে মনজুর আলমকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। তবেই আপনারা সঠিক সেবা পাবেন।
দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা করছি আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই এ পরিবর্তন দেখা যাবে। ওই নির্বাচনে মানুষ পরিবর্তনের পক্ষেই রায় দেবে। কারণ, মানুষ এ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার সিটি নির্বাচন দিয়ে প্রথমে ভেবেছিল আমরা আন্দোলনে আছি নির্বাচনে যাবো না। কিন্তু আমাদের আন্দোলন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে। স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপি এর আগেও অংশ নিয়েছে এবারও নিলো। এর আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়ে জয়যুক্তও হয়েছিল। এবারও সে ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, বিএনপির আন্তর্জাতিক ও দফতর বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, জাসাসের সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, সাংবাদিক-কবি আবদুল হাই সিকদার প্রমুখ।
এর আগে প্রায় দুই বছর পর মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। ২০১৩ সালের ২১ মে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে এখানে আসেন তিনি। তবে সেবার কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করলেও এবার আর ভেতরে যাননি বিএনপির চেয়ারপারসন। কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে বাসায় ফেরেন তিনি।
এদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৈরি মঞ্চে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকেই সংগীত পরিবেশনা শুরু করেন জাসাসের শিল্পীরা।
এর আগে থেকেই সেখানে একে একে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও উৎসুক জনতা।