কানাইঘাটে ভুয়া কোম্পানি খুলে প্রতারণার ফাঁদ

30

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে নামে বেনামে ভুয়া আর্থিক কোম্পানি। আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী চক্র প্রতারণার নতুন ফাঁদ হিসেবে গড়ে তুলছে এসব প্রতিষ্ঠান।
তাদের খপ্পড়ে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সহজ সরল লোকজন। বিশেষ করে তাদের অভিনব কৌশল ও লোভনীয় অফারের কাছে যেন হার মানছেন প্রবাসীরা। ইতোপূর্বে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আশায় যুবক, ডেসটিনি, ইউনিপে টু ইউ, স্পিক এশিয়া ইত্যাদি হায় হায় কোম্পানির কাছে সবকিছু তোলে দিয়ে রাস্তায় বসেছেন এখানকার শতশত পরিবার। এরই মধ্যে আবার নতুন নতুন ঘরোয়া কোম্পানির আবির্ভাব দেখে ভোক্তভোগদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কানাইঘাট উপজেলায় কেবল কাগজ কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ অর্ধশতাধিক ভুয়া কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক কোম্পানির প্যাডে অফিসের ঠিকানা দেওয়া থাকলেও বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ভোক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ঐসব প্রতারকরা প্রথমে বিভিন্ন লাভজনক প্রজেক্ট ও সুযোগ সুবিধা দেখিয়ে গ্রাহক সংগ্রহ করলেও পরে আর তাদের কথায় কাজে মিল থাকে না।
কানাইঘাট উপজেলা সদরের নন্দিরাই গ্রামের আব্দুল মুতাল্লিবের পুত্র প্রবাসী হেলাল আহমদ অভিযোগ করে বলেন, একই উপজেলার বদিকোনা গ্রামের ফারুক আহমদ ভুয়া কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে ‘পায়রা বিজনেস গ্র“প’ নামে একটি কোম্পানি খুলে ১০ বছরে ৮০% লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তি করে ১১ লাখ টাকা গ্রহণ করে। সম্প্রতি তার সকল জালিয়াতি ধরা পড়লে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকের চাপের মুখে ১১ লাখ টাকার চেক দেয়। পরে তার কথামত ইসলামী ব্যাংক কানাইঘাট শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার ঐ একাউন্টটি শূন্য বলে জানান। এ ঘটনায় ফারুকের বিরুদ্ধে সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৩১/১৫ নং মামলা দায়ের করলে বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে। ফারুকের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেন উপজেলার মাও ঃ মুহিবুর রহমান ও বদিকোনার নজরুল ইসলাম। এসব প্রতারক ও ভুয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন ভোক্তভোগিরা।