বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে ছাতক হাইস্কুলের হীরক জয়ন্তীর প্রথম দিন সম্পন্ন

44

Herok Jonty--2ছাতক থেকে সংবাদদাতা  :
ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুলের ৭৫বছর পূর্তিতে হীরক জয়ন্তী ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করে কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ফনী ভুষন চৌধুরী। এর আগে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এ সময় তিনি হীরক জয়ন্তীর স্মৃতিফলক আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। পরে প্রধান অতিথি, প্রাক্তন ছাত্র ফনী ভুষন চৌধুরী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শামীম আহমদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক ও উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মঈনুল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বের করা হয় এক বিশাল বর্ণাঢ্য র‌্যালী। এ সময় প্রাক্তন ছাত্র, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ, এড. রাজ উদ্দিন, অধ্যাপক হরিদাস রায়, ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ হারুন অর রশীদ, পৌর সভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র রজনু আহমদ, ব্যবসায়ী জামাল আহমদ চৌধুরী, সাংবাদিক বিজয় রায়, অসিত কুমার দাস, এড. কামাল হোসেন, পৌর কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, আখলাকুর আম্বিয়া সোহাগ, অধ্যাপক ফখর উদ্দিন আহমদ স্বপন, বেলাল আহমদ, হাজী মখলিছুর রহমান, প্রবাসী শাহজাহান চৌধুরী, ব্যবসায়ী মহন্ত রায়, মিছবাহ উদ্দিন আহমদ, প্রবাসী আব্দুল ওদুদ, ছাতক ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি শফিকুল ইসলাম বাবুল, জিএস বিকাশ সাহা, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান, আজমল হোসেন সজল, শাহিন চৌধুরী, আব্দুল বারী চপল, আহমেদ শাখাওয়াত চৌধুরী সেলিমসহ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা র‌্যালীতে অংশ গ্রহন করেন। র‌্যালী সম্মুখ ভাগ দখল করে র‌্যালীতে অংশ নেয় একটি সু-সজ্জিত হাতি। শিক্ষা, দেশীয় সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তোলে ধরতে র‌্যালীতে ঘোড়ার টমটম, মহিষের গাড়ি, হরিন-হরিনী, শান্তির প্রতীক কৃত্তিম বিশাল আকারের পায়রা, দোয়াত কলম, বই, জাতীয় ফুল শাপলা, হীরক জয়ন্তীর প্রতীক দ্বারা সজ্জিত করা হয় র‌্যালীকে। এছাড়া ১৯৪১ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৭৫ বছরের ব্যাচ অনুযায়ী ৭৫টি সু-সজ্জিত প্লে-কার্ড র‌্যালীকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। বিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও স্কাউটদল ছাড়াও ব্যান্ড পার্টির বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে র‌্যালীতে অংশ নেয়া প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা উৎসবের আনন্দে মেতে উঠে। র‌্যালীটি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। মধ্যান্যভোজন শেষে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের শুরু হয় ব্যাচ ওয়ারী ফটোসেশন। এ সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণটি পরিণত হয় নবীন-প্রবীণের এক মিলন মেলায়। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও গুণীজনদের পদচারণায় মুখরিত হয় বিদ্যালয় অঙ্গন। হীরক জয়ন্তী উৎসবকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়কে নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়। ব্যানার, ফ্যাষ্টুন, প্লে-কার্ড ও ডিজিটাল বিল বোর্ডে চেয়ে যায় বিদ্যালয় আঙ্গিনা। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ করা হয় আকর্ষণীয় তোরণ ও আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয় বিদ্যায়সহ আশ পাশ এলাকা। সন্ধ্যায় উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শামীম আহমদ চৌধুরী সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক ও উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মঈনুল হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় বিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফনী ভুষন চৌধুরী। রাতে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।